শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। যেখানে আইন নাই, আইনের শাসন নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই, মানুষের ভোটাধিকার নাই, মানবাধিকার নাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই, বাক স্বাধীনতা নাই, যেখানে জীবনে নিরাপত্তা নাই, যে দেশে ৬০ লাখ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিন্ন মত ভিন্ন পথকে বন্ধ করে দিতে চায়। যে দেশে এই রেজিমের বিরুদ্ধে কথা বললে গুম হয়ে যায়, খুন হয়ে যায় । পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণ করতে হয়। জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হয়। সেই দেশে শুধুমাত্র কি প্রতিবাদ করলে হবে?
[৩] শনিবার নয়া পল্টনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] খসরু বলেন, কেন গণতন্ত্রের মা জেলের মধ্যে আছে, সেটা কি কারোর অজানা? সরকারের লক্ষ্য ভোট চুরি করে জনগণকে বাইরে রেখে, সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে, লুটপাট দুর্নীতির সুযোগ দিয়ে, ভোট চুরি করে, ক্ষমতা দখল করতে হবে বাংলাদেশের মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিতে হবে, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে হবে, গণতন্ত্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড কেড়ে নিতে হবে, জীবনের নিরাপত্তা কেড়ে নিতে হবে, দেশ বিক্রি করে দিতে হবে।
[৫] আমির খসরু প্রশ্ন করেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে এটা কি সম্ভব? তাই তাকে জেলে দিতে হবে। অন্যায় ভাবে জেলে দিতে হবে । একটি মানুষ একটি দেশের নাগরিক তার যে বিচারের অধিকার সবকিছু একটা একটা করে লংঘন করেছে।
[৬] তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা করে সেখানে আর্টিকেল ইলেভেনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, বিচারের রায়, কেউ যদি কারোর অজান্তে যদি কোন কিছু ঘটে থাকে- তাকে কোন বিচার করা যাবে না । বাংলাদেশের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে আমাদের বিচারের অধিকারের কথা। তারা তা লংঘন করছে। বাংলাদেশের আইনে আছে বিচারের কথা, তারা লংঘন করছে।
[৭] খসরু বলেন, বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে এই মামলার সাথে জড়ানো হয়েছে। এই টাকার সাথে উনার কোন সম্পর্ক নাই। ওনার অজান্তে এ কাজটি হয়েছে। তাকে শুধুমাত্র ভিতরে রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই আজকে তাদেরকে জোর করে তাদেরকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :