শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২২, ০৩:২৯ দুপুর
আপডেট : ০২ জুন, ২০২২, ০৩:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবির সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন

‘ভাষাসৈনিকরা জাতির গৌরব’

প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ভাষাসৈনিকরা জাতির গৌরব। তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বুধবার রাতে ধানমন্ডিতে তাঁর বাসভবনে অনুষ্ঠিত স্মৃতির আয়নায় ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও আবদুল মতিন খসরু মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক, ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন (টিটু) ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান খান প্রমুখ।

সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, যারা মায়ের ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে মিছিল করেছেন, তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে রাষ্ট্রেরও কোনোরূপ কার্পণ্য করা উচিৎ নয়। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ না হয়েও সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম জননেতা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্মানবোধের জন্য তখন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সরকারিভাবে ভাষাসৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির ব্যাপারেও মতবিনিময় সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

দেশের সামগ্রিক অবস্থা বিশেষ করে শিক্ষা সেক্টরে কীভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা যায়, দুয়েকটা মেগা প্রকল্প শিক্ষা সেক্টরের জন্য নেয়া যায় কিনা প্রশ্ন করলে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্কি তার সাথে একমত পোষণ করেন। আলোচনায় ওঠে আসে, তার সভাপতিত্বে জাতীয় পর্যায়ে আবদুল মতিন খসরু স্মরণসভা করা যায় কি না। 

এতে তিনি সম্মতি প্রদান করেন। কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান ও মিসেস আবদুল মতিন খসরুসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনাক্রমে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি স্মরণসভা আয়োজন আমাদেরকে কিছুটা হলেও দায়মুক্তি দিতে পারে বলে সভায় উপস্থিত সকলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়