ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তারা কোনো কম্পন টের পাননি। কেউ বলেন, ভূমিকম্পের সময় তারা জেগে থাকলেও কিছু বুঝতে পারেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প অনুভব করা বা না করার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভূমিকম্প অনুভূতির তারতম্যের মূল কারণ হলো সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তির অবস্থান।
তিনি বলেন, “আপনি কত তলায় আছেন, তার ওপর ভূমিকম্প অনুভব করার সম্ভাবনা নির্ভর করে। উপরের তলায় থাকলে কম্পন বেশি অনুভূত হয়, আর নিচের দিকে থাকলে তা কম হয়।”
এছাড়া ব্যক্তির চলাফেরার অবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ। “যিনি স্থির অবস্থায় ছিলেন, তিনি ভূমিকম্প টের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর কেউ যদি হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াদৌড়ি করছিলেন, তবে তিনি কম্পন নাও অনুভব করতে পারেন,” বলেন ড. শাখাওয়াত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, “আমি সাধারণত কম্পন অনুভব করি, কিন্তু আজকের ভূমিকম্প টের পাইনি, কারণ তখন আমি ব্যস্ত ছিলাম।”
তিনি জানান, “একই ভবনে থেকেও কেউ ভূমিকম্প অনুভব করেন, কেউ করেন না। কেউ বসে থাকলে বুঝতে পারেন, কিন্তু রান্না বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে অনুভব করা কঠিন হয়।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে কম্পন অনুভূত হওয়া স্বাভাবিক, তবে দূরের স্থানে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি টের পাওয়ার পার্থক্য তৈরি হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা