শিরোনাম
◈ খাদ্য আমদানি: প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টন, হয়েছে ৪৮ লাখ ◈ ব্যক্তির ছবি থাকছে না নতুন টাকায়, হাতে পাওয়া যাবে যখন (ভিডিও) ◈ সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা, দ্য ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম ◈ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি ◈ করমুক্ত আয় সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি ঢাকা চেম্বারের ◈ যুক্তরাজ্য থেকে ১৩৭৬ কোটি টাকায় দুই কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার ◈ সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের জন্য ১৫১৩ কোটি টাকা অনুমোদন ◈ ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় অস্ত্র আমদানিতে ভারতের কৌশলগত পরিবর্তন ◈ অপরাধ প্রতিরোধে মহানগরীর অলিতে গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ দিনে কেউ ফল বিক্রেতা-অটোরিকশাচালক, রাতে ডাকাত (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৯ রাত
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মশা কোন রক্তের গ্রুপের মানুষকে বেশি কামড়ায়? বাঁচার উপায় 

আমাদের চারপাশের অনেকেই এমন দাবি করেন যে বেছে বেছে কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। বিষয়টি কিছুটা সত্যি।

পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার অত্যধিক ‘ভালোবাসা’র শিকার। নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয় বলে দাবি রয়েছে। বিজ্ঞানও এই দাবিটি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে এর সপক্ষে এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি।

২০০৪ সালে জার্নাল অব মেডিক্যাল এনটোমলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়, যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের প্রতিই বেশি আকর্ষিত হয় মশা।

 ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তাদের ওপর মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বি, এ গ্রুপের মানুষজনের ওপরও মশা ছাড়া হয়। কিন্তু ও যারা, তাদেরই বেশি কামড়ায় মশা।

বিজ্ঞানীদের মতে, মশা রক্তে থাকা প্রোটিন শনাক্ত করতে পারে। রক্তের গ্রুপের নিরিখে এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন আলাদা হয়। এক্ষেত্রে তাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে শুধু রক্তের গ্রুপের নিরিখে নয়, ঘাম, গন্ধ, শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ, পোশাকের রঙের ওপর নির্ভর করেও মশা কামড়াতে পারে। এ ছাড়া আর কী কারণ আছে এবং কিভাবে মশার হাত থেকে বাঁচবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি ছাড়লে: কার্বন ডাই–অক্সাইডের প্রতিও মশাদের একটা ভালো লাগা আছে। কাজেই আপনি যদি বেশি বেশি নিশ্বাস নেন, একটু ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হন, তবে অন্যদের থেকে আপনাকে মশা বেশি কামড়াবে।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে: আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি হয়, তবে মশা অন্যদের তুলনায় আপনার শরীরে বেশি বসবে। কাজেই দৌড়ানোর সময় বা ব্যায়াম করে এসে বসার সময় খুব সাবধান।

ঘামে ভেজা শরীর: ঘাম সবার অপছন্দ হলেও মশার কাছে খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ঘামে থাকা ল্যাকটিক এসিড, অ্যামোনিয়া মশাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। অতএব ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে কোথাও বসার আগে সাবধান।
 
অন্তঃসত্ত্বা হলে: দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০০ সালের দিকে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মশা কামড়ানোর হার দ্বিগুণ!

নির্দিষ্ট খাবারের ফলে: অনেক সময় আপনার খাবারও হতে পারে মশায় ধরার কারণ। যদিও এ বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই, তারপরও মিষ্টি, ঝাল ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার মশার বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক কলাকেও মশার আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং কলা খাওয়ার আগে সাবধান।

নির্দিষ্ট রঙের পোশাক:  শুধু খাওয়াদাওয়া বা ব্যায়াম নয়, আপনার পোশাকও মশাকে আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, হালকা বা সাদা রঙের তুলনায় কালো আর সবুজ রঙের পোশাক পরা লোকজনকে মশা বেশি ধরে। পাশাপাশি, ঘন নীল, ঘন লাল, এমন গাঢ় রঙের পোশাক পরলেও মশার কামড় একটু বেশিই খেতে হয়।

বাঁচার উপায় : মশার কামড় শুধু যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকরই নয়, বরং মশা অনেক বিপজ্জনক রোগজীবাণুও বহন করে। কাজেই ওপরের কারণগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখা ভালো। রক্তের গ্রুপের মতো বিষয়গুলো যেহেতু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, পানি জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা ও থাকা, মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা, হাত ও পায়ের খোলা জায়গায় মশা না কামড়ায় সে জন্য সেসব জায়গায় মশারোধী লোশন ব্যবহার করতে পারেন।  সূত্র : ভেরি ওয়েল মাইন্ড ও এবিপি লাইভ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়