দেশের আলোচিত দুই ইনফ্লুয়েন্সার বারিশ হক ও রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ঝগড়া যেন থামছেই না। সম্প্রতি দেশের একটি ব্র্যন্ডের হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তনি।
এসময় বারিশ হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি।
তনি বারিশের নামে অভিযোগ তুলে বলেন, বারিশা হক কথিত ওই ব্র্যন্ডের ফটোশ্যুট করার সময় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন।
এছাড়া এ মডেল ও অভিনেত্রীর নামে কনসেপ্ট চুরির অভিযোগ তুলে তনি আরও বলেন, বারিশ হক তাদের শ্যুট কনসেপ্ট চুরি করেছেন এবং এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি ব্যান্ডটির। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হন সংবাদ সম্মেলন করতে।
তনি এ সংবাদ সম্মেলনে বারিশ হকের পাশাপাশি তার স্বামী সীমান্ত রায়হানের নামেও আনেন গুরুতর অভিযোগ।
আর এ নিয়ে বেঁধে যায় দুই ইনফ্লুয়েন্সারের পাল্টাপাল্টি বিবাদ। যার উত্তাপের আঁচ এখন স্যোশাল মিডিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।
তনির সংবাদ সম্মেলনের পর সীমান্ত ও বারিশ হক তাদের নিজ নিজ ফেসবুক পেজে আলাদা আলাদা স্ট্যাটাস দেন।
সীমান্ত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘অন্যের জন্য যে কবর খুঁড়ে সে জানেনা, যে নিজের জন্যেই কবর প্রস্তুত করছেন।’
এদিকে বারিশ লেখেন, `প্রেস কনফারেন্স এর অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ দিচ্ছেন অনেক ভুক্তভোগী। একজন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার একাধিক মডেলদের বিদেশ ভ্রমণ এর নামকরে টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরেকজন নারী উদ্যোক্তা রেস্টুরেন্টের ফেইক ব্যবসায়ীক পরিচয় দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।আরেকজন প্রমোশনের নামে টাকা নিয়ে মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছেন অনলাইন পেইজ এর মালিকদের। কথায় আছে না, অন্যের জন্য কবর খুড়তে গেলে নিজেই সেই কবরে পরতে হয়। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। সত্যের জয় হবে-ই।'
বারিশার এ স্ট্যাটাসের পর কিন্তু তনি থেমে থাকেননি। তিনিও পাল্টা জবাব দিয়ে একটি স্টাটাস দেন।
লেখেন,বাড়াবাড়ি সবার সাথে করেছেন,আমার সাথে না!! আপনার সেক্টরের কোনো প্রোমোটার পর্যন্ত আপনাকে দেখতে পারে না!! কেন!! ভেবে দেখেছেন!!!
আপনার মত ফেইক শো অফ করে আমি মার্কেটে ভিউ ধরে রাখি নি, মানুষ আমাকে ভালবাসে, তাই যখন কোথাও নিজের শোরুম ওপেন করি হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে, যার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়া তে অভাব নেই।
রেস্টুরেন্টে প্রসঙ্গ তুলে তনি আরও লেখেন, আমি নিজেকে ফেইক রেস্টুরেন্টের মালিক বলছি এটা প্রমান করতে পারলে সোস্যাল মিডিয়াতে চেহারা দেখাবো না, সাহস থাকলে আমার নাম ধরে পোস্ট দেন, মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য কান ধরে উঠ বস করাবো। সবাইকে নিজের মত ভাব্বেন না, আমি পানির মত স্বচ্ছ, পরিস্কার, আমার ফেইক ভিউ দেখিয়ে মানুষের থেকে কাজ নিতে হয় না, কেউ আমাকে টাকা দিয়ে কিনতে পারে না।
সবশেষে তরি লেখেন, যে অপকর্ম গুলো করেছেন উদ্যাক্তাদের সাথে, আপনার বিরুদ্ধে ডাক দিলে কয়েকশ উদ্যোক্তা দাঁড়াবে, তখন পালানোর জায়গা পাবেন তো!! এখন তো বাঁচানোর জন্য হাউন আংকেলও নাই।
এরপর তনির একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, তিনি বেশ উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করছেন। সেখানে উচ্চস্বরে তনি বলেন, ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড ওয়ান ওম্যান শো, আমি ফেইক মালিক?
কোন জায়গা থেকে আসছো, মডেলিং করে, র্যাম্পে হেঁটে কি করে আসছো তা সারা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। আমাকে তেমন করে আসতে হয়নি উল্লেখ করে তনি আরও বলেন, সো আমার মুখ খুলাইওনা। আমার কোন বাজে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া লাগেনাই। আগে স্বামী ছিল এখন নাই, এখন আমি ওয়ান ওমান শো।
যদিও ফেসবুক স্ট্যটাস গুলোতে কেউ কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে নেটিজেনরা নিশ্চত ভাবেই বুঝতে পারছেন এসব স্ট্যাটাস তনি ও বারিশ একে অপরের পাল্টাপাল্টির বিবাদের জবাব হিসেবেই দিয়েছেন। উৎস: ইত্তেফাক।
আপনার মতামত লিখুন :