মোস্তাফিজ : রাজধানীর সবুজবাগে মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ খেয়ে এক নাদিয়া খাতুন নামে ১৬ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নন্দিপাড়া দক্ষিণগাঁও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ফার্মেসী দোকানীর কথা মতো ঔষধ সেবনের পর অসুস্থ তা বেড়ে গিয়ে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে ঐ অবস্থায় তাকে পুনরায় সেই ফার্মেসীতে পুনরায় নিয়ে গেলে, তাদের কথা মতো মুগদা হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। ঢামেক মর্গে শিশুটির বাবা দিনমজুর মো: নাসির জানান এ-সব তথ্য।
তিনি বলেন, গত ৩১ আগষ্ট বাচ্চা টা একবার বমি করে। পরে ঠিক হয়ে যায়। আর কোন সমস্যা হয় নি। তিনি বলেন, পরদিন রোববার (১,সেপ্টেম্বর) আমি কাজে চলে যাই।
বেলা আনুমানিক বারোটার দিকে মেয়ে টা আবার বমি করে, বিষয়টি আমাকে ফোনে জানায় আমার স্ত্রী (শিশুর মা) রিপা আক্তার।
পরে তাকে বলি বাড়ির পাশে একটি ফার্মেসী আছে সেখানে গিয়ে শিশুটির সমস্যার কথা বলে ঔষধ নিয়ে আসতে। তারা ঐ দোকানে যায়। শিশুটিকে দেখিয়ে বমির করার কথা বললে, সেই দোকান থেকে তিন টি সিরাপ দেয়। একটি বমির, একটি এন্টিবায়োটিক ও একটি ভিটামিন সিরাপ। এবং ঐ সিরাপের গায়ে লিখে দেয় তিন টা থেকে এক চামিচ করে খাওয়াতে।
দোকানীর কথা মতো মেয়েটিকে ঔষধ খাওয়ার পর সে বেশি অসুস্থ হয়ে পরে, একপর্যায় খিচুনি হয়ে নিস্তেজ হয়ে পরে। পরে ফামের্সী হয়ে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক বলেন, শিশুটিতো আগেই মারা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে চাই কি ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে। পরে দেখা যায় ভিটামিন সিরাপ টির মেয়াদ ২৩ সালেই শেষ হয়ে গেছে। আর ঐ ঔষধ সেবনের কারনেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি ফার্মেসীর দোকানীর বিচার দাবি করেন।
এদিকে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম, মিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দিবাগত রাতে ঢামেক মর্গে পাঠান। পাশাপাশি মেয়াদ উর্তিন সিরাপ জব্দ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :