ইমন হোসেন: [২] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএসের) এক জরিপে দেখা যায়, দেশে খাবার পানি নিরাপদ করার জন্য ৮৩ শমিক ৫৪ শতাংশ খানা বা পরিবার কোনো পদ্ধতিই ব্যবহার করে না। খাবার পানি নিরাপদ করার জন্য ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ খানায় পানি ফোটানো হয় এবং ৪ শতাংশ খানায় ফিল্টারিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। (আজকের পত্রিকা ০৪-০৭-২০২৪)
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার বিষাক্ত হয়ে পড়া পানি শোধন করতে মেশানো হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ক্লোরিন, লাইম (চুন) ও অ্যালাম (ফিটকিরি)। ফলে শোধনের পর অনেক সময় পানিতে ক্লোরিনের গন্ধ পাওয়া যায়। কিছু এলাকায় পাইপলাইনে ফুটো করে অবৈধভাবে পানির লাইন নেয়া হয়েছে। সেসব ফুটোয় ময়লা-আবর্জনা প্রবেশ করে পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ফোটানোর পরও সেই পানি বিশুদ্ধ করা যাচ্ছে না। (ইত্তেফাক ০২-০৭-২০২৪)
[৪] দারিদ্র্যের সঙ্গে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পেটের বা অন্ত্রের পীড়ায় ধনীদের চেয়ে দরিদ্র লোকেরা তিন গুণ বেশি ভোগে। অনিরাপদ পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্ষুধামন্দা ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।
[৫] বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের ৭২ দশমিক ৮১ শতাংশ খানার গৃহস্থালির পানির প্রধান উৎস গভীর-অগভীর নলকূপ ও সাবমার্সিবল টিউবওয়েল। একইভাবে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ খানায় পুকুর, নদী, খাল, লেক এবং ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ খানায় গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারের পানির প্রধান উৎস সাপ্লাইয়ের পানি। (আরটিভি)
[৬] ইসলামিক রিলিফের দারিদ্র্য হ্রাস বিষয়ক সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা জেমি উইলিয়ামস বলেন, কীটনাশক দূষণের কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভূমিহীন হওয়ায় বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসবাস ও চাষাবাদ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। (মানবজমিন ০৫-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :