শিরোনাম
◈ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ◈ সচিব সভায় সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে মতানৈক্য ◈ ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন নিহত ◈ বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে: ওবায়দুল কাদের ◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার ◈ ওমান শিগগিরই বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্কিং ভিসা চালুর চেষ্টা করছে ◈ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুশতাক-ফাওজিয়া ◈ সিলেট কাস্টমস কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৪, ০২:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২১ জুন, ২০২৪, ১১:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিষধর রাসেলস ভাইপার কামড়ালে করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

অনিক কর্মকার: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব। বিষধর এ সাপটির দংশনে বিভিন্ন জেলায় মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে খেতের ফসল কাটতে গেলে এ সাপের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন চাষিরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্তত ২৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেলস ভাইপার। প্রায়শই এসব এলাকায় এ সাপের দংশনে মৃত্যুর খবর আসছে।

ভারতে প্রতি বছর যে পরিমাণ সাপে কাটার ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে অন্তত ৪৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর মোট সাপে কাটার ঘটনার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রাসেলস ভাইপারের কারণে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। (আরটিভি অনলাইন থেকে নেওয়া)

বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন।

সাধারণত কৃষি জমিতে থাকে বলে মানুষ অনেক সময়ই সাপের গায়ে পা দেন বা না জেনে একে বিরক্ত করেন। তখন রাসেলস ভাইপার বিপন্ন বোধ করলে আচমকা আক্রমণ করে বসে। এ জন্য ধানক্ষেত বা গমক্ষেতে কাজে নামার আগে লম্বা বাঁশ দিয়ে জায়গাটি নাড়িয়ে নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, খেতে নামার সময় গামবুট পরে, জিনসের ট্রাউজার পরে কাজে নামতে হবে। এতে সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত অকেজো হতে শুরু করে। শরীর জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি দংশনের স্থানে পচন ধরে।

একইসঙ্গে দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দেওয় না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপটির দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরও বলেন, রাসেল ভাইপারের এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজ করে না।

২০১৫ সালের দিকে আমরা প্রথম রাসেল ভাইপারে কামড়ানো রোগী পেয়েছিলাম। সে সময় আক্রান্ত হাত-পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।

ভাইপার রাসেলস দংশন করলে করণীয় সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক মো. ফরিদ আহসান বলেন, কামড়ে যদি দাঁত বসে যায়, তাহলে ক্ষতস্থানের ওই জায়গাটিসহ ওপর-নিচের খানিকটা জায়গা নিয়ে হালকা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে। নড়াচড়া করা যাবে না। রোগীকে সাহস দিতে হবে। হাঁটা-চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে রক্ত চলাচলটা একটু কম হয়। এভাবে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

অধ্যাপক মো. ফরিদ আহসান আরও বলেন, গ্রামাঞ্চলের কোথাও যদি গাড়ি না পাওয়া যায়, তাহলে মোটরসাইকেলে রোগীকে চালক ও আরেক আরোহীর মাঝে বসিয়ে নিতে হবে। তাহলে একটু দ্রুত হবে।

ফরিদ আহসান জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয় না। অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তখন এটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই সাপের বিষ এমনই বেশি যে একসঙ্গে শরীরের অনেকগুলো অঙ্গ আক্রান্ত হয়ে যায়।

একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়