এস ডি অয়ন: [২] নীলফামারীতে গ্যাস ও জ্বালানি কাঠের বিকল্পে চাহিদা বেড়েছে গোবরের ঘুঁটের। লাঠিতে গোবর মাখিয়ে তা শুকিয়ে তৈরি করা হয় ঘুঁটে। সারা বছর ব্যবহার করা যায় এ জ্বালানি।
[৩] নীলফামারীর পলাশবাড়ী, লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী, চওড়া, সোনারায়সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুঁটে তৈরি করতে দেখা গেছে। সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে ঘুঁটে তৈরি করা হয়। গরুর গোবর দিয়ে গোল করে কেউ বা আবার গোবরের সঙ্গে তুস মিশিয়ে সেগুলো বাঁশের কঞ্চির সঙ্গে পেঁচিয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি করে। জাগোনিউজ
[৪] বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হাওরের বনাঞ্চল থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে নিজেদের চাহিদা মেটাতেন। দিন দিন বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় জ্বালানি কাঠের সংকট তীব্র হতে থাকে। এ ছাড়া বাজারেও জ্বালানি কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে গ্রামের মানুষকে। তা ছাড়া গ্যাস কিনে ব্যবহার করাও সম্ভব নয় সবার পক্ষে। এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে গোবরের লাঠির প্রতি ঝুঁকছেন গ্রামের বাসিন্দারা। আজকেরপত্রিকা
[৫] গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন আমাদের গ্রামের আশেপাশে থেকে গোবর কুড়িয়ে এনে মুঠে-ঘুটে তৈরি করে রাস্তার পাশে সারি সারি সাজিয়ে রাখেন। কয়েকদিন রোদে শুকালে রান্নার উপযোগী হয়। নিজেদের জন্য কিছু রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেওয়া হয়।
[৬] গোবরের ঘুঁটে রোদে শুকানোর পর গোবরের গন্ধ চলে যায় এবং লাঠিগুলো রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। এগুলো তৈরিতে পরিশ্রম হলেও খরচ কম পড়ে। গোবরের লাঠি সারা বছর গোয়ালঘরে কিংবা যেকোনো শুকনা স্থানে মজুত করে রাখা যায়। ঝড়-বৃষ্টির দিনে প্রয়োজন মতো এগুলো দিয়ে চুলায় রান্না করা যায়।
[৭] গোবরের তৈরি ঘুঁটেকে জ্বালানী ঘুটেঁ ও বলা হয়। প্রতিদিনই মানুষ গোবর আর খড় দিয়ে তৈরির এসব ঘুটেঁ মাঠে শুকাতে দেখা যায়। গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ প্রাকৃতিক জ্বালানি গৌবরের ঘুঁটের উপর নির্ভরশীল। অনেক পরিবার জ্বালানি ঘুঁটে বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :