ঝুম বিশ্বাস: [২] পোড়া ইটের পরিবর্তে রংপুরে বাড়ছে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার। ফলে বাড়ছে নতুন নতুন কারখানা। ক্রেতারা বলছেন, সিমেন্ট, বালু ও মিস্ত্রি খরচ কম হওয়ায় পোড়া ইটের তুলনায় ব্লক বেশ সাশ্রয়ী। চ্যানেল২৪
[৩] ইটের বিকল্প কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার পরিবেশের সুরক্ষায় জুগিয়েছে নতুন আশা। তাই ব্যবহার বাড়ছে দেশজুড়েই। যেমন-রংপুরের এই ইটভাটায় যান্ত্রিক মেশিনের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ব্লক। আগুনে পোড়াতে হচ্ছে না সেগুলো। লাগছে না অতিরিক্ত জমি। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, ইটের ভাটায় পরিবেশের ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। ব্লক ভাটায় সেসব নেই।
[৪] একটি কারখানায় প্রতি মাসে উৎপাদন হচ্ছে ৬ লাখেরও বেশি ব্লক। যাতে আয় হচ্ছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। যেখানে প্রতি কারখানায় কাজ করছে একশরও বেশি জনবল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির ভয় নেই। আগুনের ব্যবহার নেই বলে হয় না পরিবেশ দূষণও।
[৫] এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ভাটায় ইট পোড়ানোর কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। কার্ব-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন বাড়লে সেই সম্ভাবনা থাকবে না। এটি মাঝারি শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।
[৬] আগামী বছরে সারাদেশে সাধারণ ইট ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত রয়েছে। যার বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহে উদ্যোক্তারা। বলছেন, বাড়াতে হবে সচেতনতা। আরএম সলিড ব্রিকস, হলো ব্লক এন্ড পার্কিং টাইলস ফ্যাক্টরির উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম বলেন, সরকার বলছে ২০২৮ সালের মধ্যে ব্লকে চলে আসবে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তাই আইন করলেই হবে না, করতে হবে বাস্তবায়ন।
আপনার মতামত লিখুন :