শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৪, ০৩:২৯ রাত
আপডেট : ০২ মার্চ, ২০২৪, ০৩:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লেখক নিজেই কাঁচামাল, নিজেই পণ্য ও নিজেই মডেল!

আহসান হাবিব

আহসান হাবিব:  [১] বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে একটা বিষয় লক্ষ্য করছি দেশে প্রায় কোনো সাহিত্য সমালোচক নেই। ফলত সাহিত্যিকগণ নিজেই এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা নিজেদের লেখাকে নিজেই সেরা বলে ঘোষণা করছেন এবং নিজেই বিজ্ঞাপনের মডেল হচ্ছেন। বাংলাদেশের সাহিত্যিকগণ নিজেরাই নিজেদের পণ্য নিয়ে বাজারে হাজির হচ্ছেন, প্রকাশকদের ভূমিকা কেবল বই ছাপা পর্যন্ত। এরপর বিপণনের সব দায়িত্ব লেখকগণ নিজ স্কন্ধে নিয়ে ফেলছেন। এখন প্রতিটি লেখক এক একজন ক্ষুদে মালিক এবং পণ্য হচ্ছে তার বই। ক্ষুদে মালিকদের সমস্যা হচ্ছে এরা কোনো রকমে টিকে থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু বৃহৎদের কাছে হেরে যায়। ধরুন, প্রথমা কিংবা পাঠক সমাবেশের পুঁজির কাছে হেরে যাচ্ছে পানকৌড়ি কিংবা পেণ্ডুলাম এবং এমন আরো শত শত প্রকাশনী। আর লিটল ম্যাগাজিনগুলো তো ক্ষুদে পুঁজির করুণ উদাহরণ। তাদের অহঙ্কারের একটাই জায়গা  প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। কিন্তু এই গালভরা শ্লোগান দিয়ে বড় পুঁজির টিকি স্পর্শ করা সম্ভব নয়। পুঁজি যত বাড়বে, তত এদের বিলুপ্তি ঘটবে। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন লিটল ম্যাগাজিনের সেই রমরমা নেই। কারণ এরা স্বাভাবিকাভাবেই বড় পুঁজির কাছে হেরে বসে আছে। তথাপি টিমটিম করে কিছু থাকবে, যেমন রাষ্ট্রে ক্ষুদে উৎপাদকরা থাকে।

[২] সূতরাং হাহাকার বাড়বে। এই হাহাকার প্রধানত বিলীয়মান ক্ষুদেদের। প্রায়ই শুনি ভাই কোন ব্যবসা বাণিজ্য নাই, বেচাকেনা নাই। কারা বলে? বলে ছোট ছোট দোকানের মালিকরা। এটা স্বাভাবিক কারণ বড় পুঁজির মালিকরা ক্রেতা টেনে নিয়েছে। বাজারে গেলেই দেখতে পাই ক্রেতার অভাব নাই, নাই পণ্যের অভাব। দেশের ফুটপাতগুলি পণ্যে বোঝাই। এদের ক্রেতা নিম্নবর্গের বা আয়ের মানুষ। বড় বড় বিপনীবিতানে মধ্যবিত্ত আর ধনীদের আনাগোনা। এটাই পুঁজিবাদের নিয়ম। [৩] কেন সাহিত্যিকরা নিজেরাই নিজেদের পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাজারে? একটা কারণ নতুন নতুন মেডিয়ার উপস্থিতি। প্রতিটি মানুষের হাতে এখন এক একটা মেডিয়া যা দিয়ে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ক্রেতার কাছে। এই মেডিয়াগুলি বাজারে প্রতিযোগী হিসেবে খুব সহজেই নিজেদের হাজির করা যায়। ফলে লেখকরা, বিশেষত যে লেখক বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারেননি, তারা এই প্রতিযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর একটা কারণ হলো প্রিন্ট মেডিয়াগুলি কার্যত তাদের ভূমিকা হারিয়ে ফেলছে যেখানে সাহিত্য সমালোচনা এবং বিজ্ঞাপন দুইই রাজত্ব করতো। মেডিয়ার এই পরিবর্তনে ব্যক্তির সুবিধা হয়েছে কিন্তু এখানেও সেই একই পুঁজির খেলা।  বড় পুঁজির কাছে ছোটদের মরিয়া হাহাকারে বাজার ভারি হবে এবং একদা মিলিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। লেখক: ঔপন্যাসিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়