আজিজুর রহমান আসাদ: দুঃখের বদলে রাগটা বাড়ছে। দুই ধরনের স্টুপিড আছে। চরম প্রতিক্রিয়াশীল লুটেরা পুঁজিবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া মূর্খগুলো যারা বেলি রোডের অগ্নিকাণ্ড ‘দুর্ঘটনা’ বলে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করে। আর আছে কুপমণ্ডূক ধর্মান্ধ যারা ‘আল্লার মাল আল্লায় নিছে’ প্রচার করে বাস্তব অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সমস্যাকে ধর্ম দিয়ে ধামাচাপা দেয়।
সমস্যাটা ক্রেতা বা ভোক্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা বা উপেক্ষা করার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা (স্কেপ রুট, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা) দিতে হলে খরচ আছে। এ ধরনের খরচ করলে ব্যয় বাড়ে, মুনাফা কমে। প্রশ্নটা তাহলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের ও প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থার। মনিটরিং যা আছে, তা ঘুষ দিয়ে সামাল দেওয়া হয়। এই তথাকথিত ‘দুর্ঘটনা’ মানুষের সৃষ্টি। মুনাফার লোভ ও মানুষের জীবনের প্রতি অবহেলার একটি ‘মুক্তবাজার’ ব্যবস্থা।
রাষ্ট্রের নয়াউদারবাদী নীতিও জীবনের প্রতি অবহেলার। বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে মডেল মসজিদ তৈরিতে। কিন্তু নিরাপদ ভবন নির্মাণ বা রাস্তার নিরাপত্তা কাঠামো তৈরিতে নয়। গত বছর তথাকথিত ‘রোড এক্সিডেন্টে’ যা আরেক ধরনের কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, নিহত হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, আহত ও পঙ্গু হয়েছে সাত হাজারের উপড়ে। এটি যে আসলে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’, এই বোধ সবার আগে দরকার। লেখক: গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :