শিরোনাম
◈ আমরা কী করলাম সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আলজেরিয়ার সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ◈ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ ◈ গেট ভেঙে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডিতে বাসায় কাজের বুয়ার পরিচয়ে চাকরি নিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ◈ রোজায় নয়, গ্রীষ্মে লোডশেডিং হতে পারে : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে : তারেক রহমান  ◈ আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন জমা পড়ল ১২০ আবেদন ◈ প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করতে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ

প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৩:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা নাটক এখন আগের চেয়ে অনেক সাবলীল আর ইনক্লুসিভ 

শাকিব মুসতাভী

শাকিব মুসতাভী: নব্বই দশকের বাংলা নাটকগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে বুঝবেন, শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত নির্বিশেষে সব কয়টা ভদ্রলোক চরিত্র তথাকথিত শুদ্ধ বাংলায় কথা বলছে। অন্যদিকে চাকর-বাকরেরা কথা বলছে, আঞ্চলিক ভাষায়। আমি বাংলাদেশের অন্যতম দুইটা সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছি বুয়েট আর নটরডেম কলেজ। কোথাও শিক্ষকদের  নব্বই দশকের বাংলা নাটকের ভদ্রলোকদের মতো করে কৃত্রিমভাষায় কথা বলতে শুনিনি। ছাত্রছাত্রীদের মুখে শোনার তো প্রশ্নই আসে না। তখনকার নাটকে যেভাবে ভদ্রলোকের সংলাপ দেওয়া হতো, সেটা বাস্তবেও খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অথচ এগুলোকে এককালে রুচিশীলতা হিসেবে সেলিব্রেট করা হতো। এই ধারায় পরিবর্তন আসল শূন্যের দশকে। জাতি অবশেষে রুচির ঠিকাদারদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলো। বাংলা নাটক এখন আগের চেয়ে অনেক সাবলীল আর ইনক্লুসিভ। সমাজের সবশ্রেণির চিত্র এখনকার নাটকে পাওয়া যায়।

আগের দিনের নাটকগুলো ছিলো মূলত বড়লোকদের জন্য। কারণ বড়লোকেরা তখন টিভি কিনতে পারতো। এতগুলো টাকা দিয়ে কেনা টিভিতে বড়লোকেরা যাতে টিভির পর্দায় নিজেদের চাষাভূষাদের থেকে আলাদা করতে পারে, সেজন্য সব ভদ্রলোকের সংলাপ দেওয়া হতো মান ভাষায় আর বাকিদের আঞ্চলিক ভাষায়। শূন্যের দশকে এই ট্রেন্ডে ভাটা পড়লো। রঙিন টেলিভিশন ও ডিশের লাইন সহজলভ্য হতে শুরু করলো। কারণ তোশিবা, স্যামসং, এলজি, সনি এইসব দামী জাপানি-কোরিয়ান টিভির পাশাপাশি কংকা, টিসিএল, ওয়ালটন, আকাই এসব সস্তা চাইনিজ টিভি মার্কেটে আসা শুরু করলো। অনেকে শূন্যের দশকে টিভি থেকে মানভাষা হটানোর পুরো কৃতিত্ব মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীকে দেন। আমি মনে করি, সস্তা চাইনিজ টিভিতে বাজার সয়লাব না হলে ফারুকির পক্ষে একা বেশি কিছু করা সম্ভব হতো না। দাম দিয়ে কেনা জাপানি টিভিতে  বাংলাদেশি এলিটরা অপ্রমিত বাংলার সংলাপে নাটক দেখত না। কারণ ফোর্ট উইলিয়ামের আমল তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রমিত ভাষায় যারা কথা বলে না, তারা সবাই চন্ডাল। এখানে আসলে প্রমিত বাংলা বা তথাকথিত শুদ্ধবাংলার ভাষার রাজনীতি লুকায়িত। ফেসবুকে ২১-২-২৪ প্রকাশিত হয়েছে। 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়