শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৫৭ রাত
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘প্রতিটি মানুষের হৃদয় হলো উপসনালয়’ 

কুলদা রায়

কুলদা রায় : রুমী জন্মেছিলেন এখন থেকে ৮১৩ বছর আগে বলখ শহরে। বলখ শহরটি ছিল সে সময়ের পারস্য সাম্রাজ্যের অধীন। এখন বলখ পড়েছে আফগানিস্তানে। পরে তিনি তুরস্কের কনিয়া শহরে থিতু হন। বর্তমানে তিনটি দেশ দাবি করছে রুমী তাদের জাতীয় কবি। এই তিনটি দেশ হলো ইরান, আফগানিস্তান আর তুরস্ক। রুমী এখন সারা পৃথিবীর কবি হয়ে উঠেছেন। সাম্প্রতিক বছরে রুমীর কবিতা আমেরিকা দেশটিতে বেস্ট সেলার। কিন্তু সৌদি আরবে রুমী নিষিদ্ধ।  তার কবিতা পড়লে ব্লাশফেমির অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে। রুমীর মা ছিলেন পারস্য সম্রাটের নিকট আত্মীয়। বাবা ছিলেন সে সময়ের সবচেয়ে বড়ো আইনবিদ। অর্থ, বিত্ত, ক্ষমতা আর বৈশ্বিক রাজনীতির দিক থেকে রুমী ছিলেন উচ্চকোটির মানুষ। এসব কিছুই তুচ্ছ তাঁর কবিতার কাছে। তাঁর মানবিক দর্শনের কাছে। বেঠোভেন, শেকসপিয়ার  ও মোজার্টের সঙ্গে তিনি সারা পৃথিবীতে আদরণীয়। তিনি সুফি কবি। তিনি আমার কবি। রুমী সকল  মানুষকেই  সমমর্যাদার মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতেন। তার কাছে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান,  ইহুদী বা নাস্তিক বলে আলাদা কোনো সত্ত্বা ছিল না। 

সবাইকে সমান চোখে দেখতেন। রুমী সুফিবাদী ছিলেন। এটা ইসলাম ধর্মেরই একতি সহজিয়া রূপ। তিনি বলতেন, আমি কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নই। আমার ধর্ম হলো ভালোবাসা। প্রতিটি মানুষের হৃদয় হলো উপসনালয়। প্রতিটি হৃদয়ে ঈশ্বর থাকেন। মন্দির মসজিদ বা চার্চে কোনো ঈশ্বর নেই। মন্দির মসজিদ বা চার্চে ঈশ্বর খোঁজার দরকার নেই। নিজের হৃদয়ে খুঁজলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে। প্রতিটি ধর্মেই ভালোবাসার কথা আছে বলা হয়। ভালোবাসার কোনো ধর্ম নেই। প্রকৃতপক্ষে ধর্ম যখন ক্ষমতার অংশ হয়ে ওঠে, তখন ধর্ম মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়। এই ঘৃণার কারণে যুদ্ধের থেকেও বেশি মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করা হয়েছে পৃথিবীতে। এখন ভারতে ক্ষমতাবান হিন্দু মারছে ক্ষমতাহীন  মুসলমানকে। 

বাংলাদেশে মারে ক্ষমতাবান মুসলমান ক্ষমতাহীন হিন্দুকে। প্রকৃতপক্ষে তারা ঈশ্বরকেই মারছে। তাহলে করণীয় কী? বাংলাদেশের জন্য কণনীয়টা বলেছেন লেখক শিপা সুলতানা। দিল্লিতে কী হচ্ছে ভুলে যান। আপনার পাশের বাড়ির দিদি, বা ঠাকুমা, কাকা যেনো আপনাকে দেখে চমকে না উঠে কেনো উঠবে, আপনি কি পশু? আপনি রক্তখোর শয়তান? না। দেখবেন এই খবর শত বছর পরে হলেও দিল্লিতে পৌঁছাবে, তারাও আপনার ভাই, আপা, চাচাকে নিরাপদ রাখবে। অন্ধকার এভাবেই দূর করতে হয়, আসলে এভাবেই আলো আসবে একদিন দেশে দেশে এবং আপনি চাইলেই ধর্ম ব্যবসাীয়দের মুখোশ খুলে দিতে পারবেন, জানেন? ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়