জাকির তালুকদার: সিপিবির প্রধান সমস্যা মনস্তাত্ত্বিকভাবে আওয়ামী লীগ থেকে স্বাধীন না হতে পারা। অথবা না হতে চাওয়া। নিজেদের দলের বাইরে আওয়ামী লীগ সর্বাধিক ভোটার পেয়েছে সিপিবি, ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, খেলাঘর থেকে। আওয়ামী লীগ নিজেদের কোনো বুদ্ধিজীবী তৈরি করতে পারেনি। সেই বুদ্ধিজীবী সাপ্লাই পেয়েছে সিপিবি থেকে। তারা এখন মেয়াদউত্তীর্ণ। আওয়ামী লীগ যাদের বুদ্ধিজীবী বানাচ্ছে, টকশোতে তাদের বুদ্ধির বহর দেখে ঘোড়াও হাসে। এখন সিপিবিও নতুন বুদ্ধিজীবী বানানোর যোগ্যতা হারিয়েছে। ফলে সাপ্লাই পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। মাঝারি পদের অনেক নেতা আওয়ামী লীগকে উপহার দিয়েছে সিপিবি। তাদের মধ্যে একমাত্র মতিয়া চৌধুরীকেই আত্মীকৃত করেছে আওয়ামী লীগ।
অন্যরা লীগের বেশিরভাগ নেতার চোখে এখনো বহিরাগতই। বর্তমান সিপিবি-নেতৃত্ব অন্তত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পেরেছে। তা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের গোস্বার শেষ নেই। এই গোস্বা সিপিবির জন্য ভালো এবং খারাপ দুটোই। খারাপটা হচ্ছে সিপিবি দমননীতির শিকার হতে পারে। সিপিবি, প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, খেলাঘরের যে ব্যক্তিরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে লাভজনক অবস্থানে আছে, তাদের হয়তো পদ হারাতে হবে। আর ভালো দিকটা হচ্ছে সিপিবি, উদীচী, খেলাঘরের ভেতরে বাকি যারা অন্তরে আওয়ামী লীগার আছেন তারা সরকারের ক্রোধ এবং অবস্থান হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগের অফিসের বারান্দার বেঞ্চিতে গিয়ে বসবেন। মঞ্জুরুল আহসান খান নিজে যাওয়ার সময় উপরোক্তদের বস্তায় ভরে নিয়ে যদি চলে যান, তাহলে সিপিবি দল হিসেবে পরগাছামুক্ত হবার পথে আরেকটু এগিয়ে যাবে। লেখক: কথাসাহ্যিতিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :