ব্রাত্য রাইসু: কাউরে না চিনা মানে আপনি তার আগ্রাসনরে অস্বীকার করলেন। সেইটা পজেটিভই হউক, আর নেগেটিভই হউক। এই আগ্রাসন সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। রাজনীতিসহ আরো নানা ক্ষেত্র আছে- যেই ক্ষেত্রগুলির শাসনকর্তাদের চিনানো হয় মিডিয়া, বিজ্ঞাপন, পণ্য, বিনোদন ও সেই সেই সেলিব্রিটি ও কর্তাব্যক্তিদের দর্শন দান ইত্যাদির মধ্য দিয়া। একসময় আপনারা তাদের বিশ্বস্ত প্রজায় পরিণত হন। আপনি তখন আর নিজেরে চিনতে চান না, চিনতে শুরু করেন আপনারে যাদেরকে চিনানো হয়, সেইসব তারকারাজিরে।
যেমন কয়েকদিন আগে স্বস্তিকা নাম্নী এক তারকার দর্শন আপনারা পাইলেন। আহা, আপনাদের পেট ভইরা গেল! তারে আরো বেশি চিনতে সক্ষম হইলেন আপনারা। আপনাদেরকে চিনতে বাধ্য করা হইল। আর তাতে সে কী থরহরি অবস্থা ভক্তদের! আপনি যেই সমস্ত তারকাদের চিনেন তাদেরকে কীভাবে চিনেন, কীভাবে আপনার মগজে তাদেরকে খোদাই কইরা দেওয়া হইছে, ভাবছেন কি? না চিনতে শুরু করা মানে আপনি আপনার শর্তে তাদেরকে চিনবেন- নট তাদের যারা কারখানা ও মালিক তাদের প্রচারণা, বিজ্ঞাপন ও গিলানোর মাধ্যমে চিনবেন। আপনি নিজের শর্তে কারে কারে চিনেন, তারকা বা সেলিব্রিটিদের মধ্যে কারে কারে? একজনরেও চিনেন না, আমি জানি। সুতরাং না চিনতে শিখেন, না চিনার চর্চা শুরু করেন। ১০/২/২০২৪। যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/নৎধঃুধৎধরংঁ
আপনার মতামত লিখুন :