শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:২২ রাত
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে চিকিৎসাশিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার সংস্কার জরুরি 

এম আমির হোসেন

এম আমির হোসেন: ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ইন্ডিয়ার সেভেন সিস্টার্সসহ মিয়ানমার, নেপাল, ভুটানের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল ট্যুরিজমের কেন্দ্রস্থল হতে পারতো। এতে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতো। কিন্তু হচ্ছে ঠিক উল্টোটা। চিকিৎসা পেশার ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে এ দেশের বহু রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে কারও কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না। চিকিৎসাশিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। নীতিনির্ধারকগণ নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন। 

[১] দেশে ১৫/২০টির বেশি মেডিক্যাল কলেজ থাকার প্রয়োজন নেই। এমবিবিএস ডিগ্রির গুণগত মান বাড়াতে হবে। অন্যথায় এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হবে। বিদ্যমান বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলোকে স্পেশালাইজড/মাল্টি-স্পেশালাইজড হাসপাতালে রূপান্তর করা যেতে পারে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে একটি ভুল আইডিয়া আছে, বেশি বেশি মেডিক্যাল কলেজ মানে রোগীর বেশি বেশি সেবা পাওয়া। মেডিক্যাল কলেজের মূল ফিলোসোফি হলো ডাক্তার তৈরি করা; এখানে বাই-প্রডাক্ট হিসাবে রোগীরা সেবা পায়। রোগীদের বেশি সেবা দিতে গেলে বেশি হাসপাতাল বানাতে হবে, বেশি ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে, কেবল মেডিক্যাল কলেজ বানালে হবে না।

[২] পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের কন্ট্রোলিং অথরিটি হিসাবে বিএসএমএমইউ এবং বিসিপিএস-ই যথেষ্ট। নতুন কোনো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কোন সাবজেক্ট-এ কতো জন নতুন রেসিডেন্ট চায় তা দেশের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে সার্কুলার দেবে, প্রতিবছর ফিক্সড সংখ্যক নয়।

[৩] বর্তমান বাস্তবতায় এমডি/এমএস কিংবা এফসিপিএস ছাড়া স্বল্পমেয়াদি সকল ডিগ্রি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কেবল বেসিক সাবজেক্টসে এমফিল ডিগ্রি থাকতে পারে।

[৪] পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের ট্রেনিং স্ববেতনে হওয়া উচিত। তাদের বেতন-ভাতা বর্তমান বাস্তবতায় মাসিক ন্যূনতম পঞ্চাশ হাজার থেকে আশি হাজার টাকা হওয়া উচিত। ট্রেনিং হৌল-টাইম, নন-প্র্যাকটিসিং এবং রেসিডেন্সিয়াল বলে সরকারি ডাক্তারদেরও বেতনের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ-ভাতা প্রদান করা প্রয়োজন। [৫] যত্রতত্র মেডিক্যাল কলেজ নয়, বরং আমাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রচুর সুপার-স্পেশালাইজড হাসপাতাল বানাতে হবে, জনশক্তিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এমন মানুষদের ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

মেডিক্যাল সেক্টর নিয়ে শুধু ব্যবসা না করে পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে ভালো মানের জিপি ও স্পেশালিস্ট তৈরি করার জন্য এবং মেডিক্যাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য চিকিৎসাশিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি।

লেখক: চিকিৎসক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়