শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:১৮ রাত
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পারিবারিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক হিউম্যানের কিছু মৌলিক দায়-দায়িত্ব 

নাদিম মাহমুদ

নাদিম মাহমুদ: ধরুন, একজন লেখক বই বের করলো, তার নাম ‘জঙ্গি হওয়ার সহজ কৌশল’ শিরোনামে। আবার আর একজন ‘বোমা বানানোর কৌশল ও প্রয়োগ’ অথবা ‘অফিসে যেভাবে ঘুষ খাবেন’ শিরোনামে বই বের করলো। আবার এসব বই একুশের বইমেলায় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এসব বই যদি কেউ একদিন সত্যি সত্যিই বের করে, বিক্রি করে, তাহলে কি অবাক হওয়ার কিছু আছে? প্রতি বছর একুশের বই মেলায় তো হাজার হাজার বই বের হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে, সেইসব বইয়ের প্রকাশের নিয়ম-কানুন কী? সরকার কীভাবে সেগুলো দেখভাল করে কেউ কি বলতে পারেন? একজন দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি যদি বই লিখে, কিংবা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা লেখক হয় অথবা ধর্ষক দুর্নীতিগ্রস্ত কেউ যদি বই লিখে নিজেকে ‘সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপ’ হিসেবে নিজেকে বইগুলোর মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে, তাহলে সেই অপরাধীদের মতাদর্শই তো সমাজে সংক্রমিত হবে নাকি? 

কয়েক বছর আগে কেউ একজন ‘গালাগালি’ নিয়ে বই বের করেছিল। সেটি নাকি বইমেলায় ব্যাপক বিক্রি হয়েছিলো। আর এক ইউটিউবারও নাকি কীসব বই বের করে মেলায় হুলস্থূল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছিল। এসব ঘটনার ভিড়ে ‘জাল মেডিকেল সনদ’ দেওয়ার অভিযোগে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি বই বের করে সমাজে ইনফ্লুয়েন্স করতে চায় কিংবা অসম বয়সের দম্পতির প্রেমকাহিনি জানিয়ে অন্যদের উজ্জ্ববিত করতে চায়, তাহলে দোষ হবে কেন? ওরা বই যে লিখছে, মেলায় যে ছাড়ছে কীসের উৎসাহে? কারা সেই উৎসাহদাতা? এসব প্রশ্নের উত্তর যেটাই হোক, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধরে রাখতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের একটি পলিসি থাকে। সেই পলিসির বাইরে গিয়ে ‘উদারতা’ দেখানোর সুযোগ নেই। 

পারিবারিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক হিউম্যানের কিছু মৌলিক দায়-দায়িত্ব রয়েছে। আর সেইগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিধায় আমরা এখনো সামাজিক প্রাণি হিসেবে বেঁচে আছি। কিছু জায়গা আনটাচবেল সেটি যেমন সত্য, তেমনি সমাজের কাঠামো ধরে রাখতে রাষ্ট্রের যে ভূমিকা তা থাকা জরুরি সেটিও সত্য। কে লিখবে, কে লিখবে না সেটা নির্ধারণ রাষ্ট্র করবে না, তবে কোনটি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর তা নির্ণয়ের সক্ষমতা রাষ্ট্রের থাকা উচিত। যেমন খারাপকে প্রমোট করবার কোনো সুযোগ নেই, তেমনি মন্দলোককে সমাজে ‘মিথ্যার মোড়কে আদর্শবান’ দেখানোর সুযোগ না থাকায় শ্রেয়। শরীরে পচন ধরলে সেই অংশটির চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। সেটি রুখতে না পারলে সমগ্র শরীরে যে ছড়িয়ে পড়বে সেটি বোঝবার জন্য পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সুতরাং সরকারই সিদ্ধান্ত নিক তারা কীভাবে সেই পচনের হাত থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষা করবে। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়