শিরোনাম
◈ ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ◈ এনসিটিবি’র সামনে ২ পক্ষের সংঘর্ষে বহু আহত (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে যে নির্মম অমানবিক গণহত্যা হয়েছে, সরকার তার বিচার করবে : আসিফ নজরুল  ◈ সংস্কারের প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশি, বাঙালি জাতির একটা সনদ, আমরা বুকে নিয়ে অগ্রসর হবো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারে বিটিআরসির নতুন নির্দেশনা ◈ ‘ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না’ ◈ বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ধরা হবে, কিছু হয়েছে, ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান ◈ মারা গেছেন নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী ◈ সারজিসসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের প্রচার, যা জানা গেল

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:১৬ রাত
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বুলেট নয়, ব্যালটের জয় হোক সর্বত্র

মঞ্জুরে খোদা টরিক

মঞ্জুরে খোদা টরিক: ইমরানকে ঠেকাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের হাতে থাকা সব অস্ত্রই ব্যবহার করেছে, কিন্তু তাদের সাজানো ছক জনতা তছনছ করে দিয়েছে। সেনাবাহিনী ও মার্কিনিদের ইন্ধনে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান খান তার দল, মার্কাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ২৪ বছরের জেল দিয়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। দলকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। নেতা-কর্মীদের উপর সীমাহীন দমন-পীড়ন চলেছে। জেলে পোরা হয়েছে। কিন্তু তাদের মনোবল টলানো যায়নি। ইমরানের দল পিটিআইয়ের বিজয়কে ঠেকানো যায়নি। 

দল-মার্কা-মূল নেতাদের নিষিদ্ধ করলেও দলের অন্যরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছে। নির্বাচনে তারা এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্ডিটিলিজেন্স) প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জেলে থাকা ইমরান ও অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য প্রচার করেছে। মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করেছে।  নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার নানা চেষ্টা চলেছে। ১২ ঘন্টা কোন ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এতে পাকিস্তানের কথিত মিত্ররাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইমরানের জনপ্রিয়তায় তাদের সুর পাল্টে গেছে। অথচ তারাই তাকে ক্ষমতায় থেকে সরিয়েছে। যে অভিযোগ ইমরান নিজেই করেছে। 

এই মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তির গাছকাটা ও পানিঢালার নীতি। ইমরানকে নির্বাচনে হারাতে ব্রিটেনে নির্বাসনে থাকা নেওয়াজকে দেশে আনা হয়েছে। ইমরানের দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইমরান খানের লোকজন  ঠিকই সারাদেশে যে যার মতো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সে নকসা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। তারা সরকার ও সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও আত্মবিশ্বাসের দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। কোনো বিদেশি প্রভূর আশ্বাস ও ইন্ধনের তোয়াক্কা তারা করেনি।

জনগণের শক্তিতে ভরসা রেখেছে। সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনকে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করতে নানাভাবে চাপ দিয়েছে, ভয় দেখিয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। ইমরানের দলের স্বতন্ত্র সদস্যরা জেল গেটে ভিড় করছে নেতার নির্দেশনার জন্য। বিরোধীরাও সুর পাল্টে তার শরণাপন্ন হচ্ছে। দূতাবাসগুলোও শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছে। জনপ্রিয়তা থাকলে, জনসমর্থন থাকলে, জনগণের শক্তিতে ভরসা থাকলে বুলেট কোনো কাজে লাগে না ব্যালটই সে প্রশ্নে উত্তর দেয়। বুলেট নয়, ব্যলোটের জয় হোক সর্বত্র। সাধুবাদ পাকিস্তানের জনগণকে। লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়