শিরোনাম
◈ ঢাকার সড়কে চালু হচ্ছে গোলাপি রংয়ের ২,৬১০টি বাস ◈ চৌকিতে আমু ফ্লোরে ঘুমান সালমান, খাবার অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়: যেমন কাটছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাজীবন ◈ মণিপুরে রক্ত ঝরাচ্ছে মোদির দল, ফাঁস কল রেকর্ড ◈ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেফতার ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং পরামর্শক ◈ ইউরোপিয়ান ফুটবলে জানুয়ারির মধ্যবর্তী দলবদল শেষ, দামী খেলোয়াড় খাভিছা ◈ পেলে, ম্যারাডোনা ও মেসির সঙ্গে আমার তুলনা চলে না, আমিই সর্বকালের সেরা: রোনালদো ◈ সুমাইয়াকে হয়রানি ও হত্যার হুমকি, কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বাফুফে ◈ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ ◈ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০২:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষকরা কি নিজেরা পড়াশোনা করেন যে তারা ছাত্রদের প্রতিনিয়ত অভিনব উপায়ে পড়াবেন?

কামরুল আহসান

কামরুল আহসান: ২০০২ সালে আমি উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের একটা বাচ্চাকে পড়াতাম। ওর নাম ছিল অতুল। অতুল ছিল খুব দুষ্ট। কারও কাছেই ও পড়তে চাইতো না। তিন- চারজন টিচারের পর আমাকে রাখা হয়। আমি প্রথম সাতদিন ওর সঙ্গে বক্সিং আর লুকোচুরি খেললাম। তারপর একদিন বললাম, আসো, একটু লেখাপড়া করি। তা না-হলে তোমার নানী তো আমাকে বকবে। তিন মাসের মধ্যে অতুল বদলে গেলো। আমি না গেলে নাকি ওর ভালে লাগে না। আমি চলে আসতে গেলে ও আসতে দেয় না। প্রতিদিনই প্রথমে আমি ওর সঙ্গে একটু খেলাধুলা করি, গল্প করি, তারপর পড়তেও বসি খেলাচ্ছলে। পরের পরীক্ষাতে ও ভালো রেজাল্ট করলো। ওর নানী আমার বেতন বাড়িয়ে দিলো দ্বিগুণ। কিন্তু একটা কারণে কিছুদিন পর আমাকে টিউশানিটা ছেড়ে দিতে হয়। বাচ্চাদের পড়ানো মজার, আর চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই তাদের আনন্দের সঙ্গে পড়াতে হবে। কিন্তু যেÑসমাজব্যবস্থায় আমরা থাকি, এই টানাপোড়নের অর্থনীতির মধ্যে আনন্দ কোথায়? আনন্দ কি আমাদের ঘরে-পরিবারে আছে যে স্কুলে থাকবে? 

সরকারি বা বেসরকারি বেশির ভাগ স্কুলের শিক্ষকরা বেতন পান কত যে স্কুলে গিয়ে বিদেশি শিক্ষকদের মতো ব্যাঙের মতো লাফাবেন? কিন্ডারগার্টেনের এমন অনেক শিক্ষককে চিনি বেতনের টাকায় চলতে পারেন না বলে বিকেলে ফার্মেসি বা ফ্লেক্সিলোডের দোকান চালান, বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। আর সত্তর-আশিজন ছাত্রের ক্লাসে কজনের দিকে একজন শিক্ষকের মনোযোগ দেওয়া সম্ভব? এমন আত্মত্যাগী শিক্ষকইবা এখন কজন আছেন? শিক্ষকরা কি নিজেরা পড়াশোনা করেন যে তারা ছাত্রদের প্রতিনিয়ত অভিনব উপায়ে পড়াবেন? বাংলাদেশের কজন শিক্ষকের বাড়িতে ব্যক্তিগত লাইব্রেরি আছে? কেবল প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান সম্ভব নয়। ট্রেনিং দিয়ে হঠাৎ করে কাউকে সৃজনশীল করা সম্ভব নয়। এটা একটা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। ছোটবেলা থেকে জীবনচর্চার মধ্যদিয়ে এটা বিকশিত হয়। অনেক শিক্ষককে কাছ থেকে দেখেছি, ছাত্র তো দূরের কথা, সন্তানের সঙ্গেই তার কমিউনিকেশনের ক্ষমতা নেই। আর শিক্ষা জিনিশটা যে কী এই বোধই তো এ জাতির হয়নি। লেখক ও সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়