শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৫৩ রাত
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুগল করে কিছু ভুল-শুদ্ধ চমকপ্রদ তথ্য জুড়ে দিয়ে কন্টেন্ট বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে! 

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: প্রয়াত বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের নামে প্রথম ফেসবুক গ্রুপ খুলেছিলাম আমি। এখন দেখি নানা গ্রুপ থেকে উনাকে নিয়ে কিছু ফালতু লেখা প্রকাশিত হয়। ফেসবুকবাসী সেগুলো খেয়ে ঢেঁকুর তুলে বলে, আহা, আহা! প্রয়াত স্টিফেন হকিং কবে নাকি বলেছিলেন, আমি নই, সে-ই সেরা। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। প্রফেসর ইসলাম হকিং ও রজার পেনরোজ দুজনের সঙ্গেই কাজ করেছেন। প্রয়াত জামাল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আবিষ্কারও করা হয়। তার লেখা আলটিমেট ফেইট অফ দ্যা ইউনিভার্স নিয়ে। হকিংয়ের ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইমের ছয় বছর আগে বের হলেও ষড়যন্ত্র করে নাকি এই বইকে দমিয়ে রাখা হয়। পপুলার সায়েন্সের বই ও একাডেমিক বই এসব নিয়ে এবিসি জ্ঞান থাকলে কেউ এমন কথা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু ফেসবুকবাসী এসব বিশ্বাস করে গদগদ হয়ে যায়। 

এতো লম্বা পোস্ট লেখার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলো না। লিখলাম এরকম আরেকটি পোস্ট দেখে। প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক নিয়ে লেখা একটি পোস্ট দেখে। প্রফেসর রাজ্জাকের পিএইচডি শেষ না করার কারণ হিসেবে তাতে বলা হয়েছে, তার পিএইচডি সুপারভাইজার এবং তার প্রিয় শিক্ষক হ্যারল্ড লাস্কির মৃত্যুতে উনি মুষড়ে পড়েন। হ্যারল্ড লাস্কি প্রফেসর রাজ্জাকের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বলে কোনো তথ্য আমি জানি না। ফেসবুকে কন্টেন্ট বানানো এখন একটি পেশা। গুগল করে কিছু ভুল শুদ্ধ চমকপ্রদ তথ্য জুড়ে দিয়ে কন্টেন্ট বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। লাইক, শেয়ার হলেই কিছু আয় হয়। উপমহাদেশের লোকদের বঞ্চনাবোধ প্রবল। তাই তারা খুব দ্রুত কন্সপিরেসি তথ্য বিশ্বাস করে। 

হিগস বোসন কণা আবিষ্কার প্রমাণিত হবার পর উপমহাদেশজুড়ে কান্নার রোল উঠল, সত্যেন বোসকে কীভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে তার নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হল। অথচ ঘটনা হলো, পদার্থ বিদ্যায় আবিষ্কৃত তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণের আগ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় না। সার্নের গবেষণায় হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ার পর নোবেল পান প্রফেসর হিগস। যিনি ষাটের দশকে এই কণা প্রেডিক্ট করেছিলেন। তার প্রেডিক্ট করা কণাটির স্পিন কোয়ান্টাম নাম্বার বোস অনুসৃত পরিসংখ্যান বিন্যাসের মধ্যে পড়ে, তাই একে বোসন কণা বলে। আমার সাধারণ বুদ্ধিতে যেটুকু কুলায় তার ভিত্তিতে বললাম। আমি মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশের জন্য লিখি। জ্ঞান বিলানো আমার কাজ না। এরকম মনে হলে মার্জনা করবেন। লেখক : সাংবাদিক। ফেসবুকে ২৮-১১-২৩ প্রকাশিত হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়