ইমতিয়াজ মাহমুদ, ফেসবুক: একদল বিনোদন সাংবাদিক তিশা নামের একজন অভিনেত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দাবী করেছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। কৌতূহল হলো, এই অভিনেত্রী আবার কি করলেন? যেটা জেনেছি সেটা হচ্ছে যে তিশা একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করেছে, হুমকি দিয়েছে তাকে উড়িয়ে দিবে ইত্যাদি। কেন? অভিনেত্রী এইরকম রাগলেন কেন? এইটা কেউ স্পষ্ট করে জানাতে পারছিল না। পরে একজন জানালেন যে ঐ রিপোর্টার নাকি তিশাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে খুবই অসংবেদনশিল এবং আপত্তিকর কিছু প্রশ্ন করেছিল।
সাধারণভাবে সাংবাদিকেরা যে কোন তারকাকে যে কোন প্রশ্ন করতে পারে। কেবল তারকা নয়, সংবাদের লায়েক যে কোন ব্যক্তিকেই ওরা নানারকম প্রশ্ন করে। সব প্রশ্ন যে খুব প্রীতিকর হয় সেটাও নিশ্চয়ই নয়। আর সিনেমা টেলিভিশনের অভিনেতা অভিনেত্রী এবং সেই ধরনের তারকাদের প্রণয় ইত্যাদি নিয়ে রিপোর্ট করা সেটাও অভিনব কিছু নয়। তথাপি সবকিছুরই তো একটা মাত্রা থাকে, সীমা থাকে। প্রাইভেসি বলে একটা কথা আছে, তারকাদের প্রাইভেসি খুব একটা থাকে না সেটাও সত্যি, তথাপি একটা মাত্রা তো থাকে আরকি।
সাংবাদিকদের একটা ক্ষমতা আছে- বিশেষ করে তারকাদের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাইলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তারকাদের ক্যারিয়ারেরও ক্ষতি করতে পারে। তিশাও নিশ্চয়ই সেটা উপলব্ধি করেন। শুনলাম তিনিও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁর আচরণের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সম্ভবত এতে করে ছোট এই সংকটটা আপাতত কেটে যাবে। কিন্তু একটা কথা তো থেকেই যায়। যে রিপোর্টারটি ঐরকম আপত্তিকর অশালীন প্রশ্ন করে ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন তিনি কি এই নারীটিকে হেনস্তা বা হয়রানী করলেন না?
গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন সাংবাদিকেরা, আপনারা দল পাকিয়ে একজন নারীকে হেনস্তা করার মত আপত্তিকর একটা কাজের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কাজটা ভাল হয়নি। তিশার প্রতিক্রিয়া হয়তো রুঢ় ছিল, অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। হয়তো একটু বালখ্যিল্যও ছিল। কিন্তু সেটা তো একজন ব্যক্তির তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া। আপনারা যেটা করেছেন সেটা তো দলবদ্ধ হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এই কাজটা করেছেন। একজন নারীকে অবমাননা করেছে যে রিপোর্টার তার হয়ে পেশী পাকিয়ে ভয় দেখালেন। এটা কি ঠিক হলো?
না, বিনোদন সংবাদিকদের এই কাজটা পছন্দ হলো না আমার।
লেখকের ফেসবুক লিংক: https://www.facebook.com/imtiaz.mahmood
আপনার মতামত লিখুন :