দেবদুলাল মুন্না : ছিলাম একসময় বন্ধু। এখন অতি দূরে। এখন আমরা ফেসবুকেও বন্ধু নয়। অনেক স্মৃতি। মলিন হয়নি আমার কাছে। কখনো কদাচিৎ দেখা হলেও যে যার মতো না দেখার ভান করে চলে গিয়েছি। তার আম্মা মারা যাওয়ার খবর পাই সুইডেন থেকে। বেশ কাতর হই। কারণ তার সংবেদনশীলতা ও বুদ্ধিমত্ত্বা এ ব্যাপারকে কিভাবে হ্যান্ডলিং করবে, সেটা আমি নিজের মতো বুঝি। লট আশি ও নব্বই দশকের কবি হিসেবে হাতে গোনা যে তিন চারজনকে আমি পছন্দ করি, তাদের মধ্যে রাইসু অন্যতম। রাইসুর চিন্তাকাঠামো বৈপ্লবিক। অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে।
ও আচ্ছা, কয়েকজন মেয়ে (তাদের নাম নিচ্ছি না, আশা করি তারা বুঝবেন) আমাকে ইনবক্সে জিজ্ঞেস করেছেন, রাইসুর নারীভাগ্য নিয়ে আমি ইর্ষা করি কিনা। উত্তর এড়িয়ে বলেছি, রাইসুকে যেভাবে নারীকেন্দ্রিক বিষয়ে অনেকেই রিড করেন তিনি তেমন নন। বলেছি, তিনি (একসময় সম্বোধনের ক্ষেত্রে তুমি বলতাম আবার আপনিও চলতো। এ লেখায় ‘আপনিই চলুক) এক অন্য মানুষ। এক কবি ও শিল্পীর জীবনই তিনি যাপন করছেন। মানুষ হিসেবেও ভালো, বাইরে যতোই ঠাটবাট দেখান। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে সেরা। তার সময়েই আমার কয়েকটি লেখা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছিল। তার জন্য ভালোবাসা। লেখক: সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :