ব্রাত্য রাইসু, ফেসবুক: সরকারবিরোধীদের গালাগালিরে গুরুত্বহীন করার কাজ শুরু করছেন আদম তমিজী হক।
সরকারের কাছের লোকেরা যখন পাগলামি কইরা আর প্রজেক্ট বানাইয়া- যেভাবেই হউক- সরকাররে গালাগালি করে, তখন বিরোধীদের গালাগালিগুলি স্পেস এবং গুরুত্ব হারাইতে থাকে।
সরকার বিরোধিতারে জাস্ট গালাগালিতে রিডিউস বা সংকোচিত করতে পারলে সত্যিকারের বিরোধিতাগুলি তীব্রতা হারাবে। তাতে পরে গালাগালির তীব্রতা ও মাত্রা না বাড়াইলে বিরোধিতাগুলিও লোকে আর শুনতে চাইবে না। এই সূত্রের মধ্যেই অনুপ্রবেশ ঘটছে আদম তমিজী হকের।
গালাগালি পছন্দ করা জনসাধারণ যখন গালাগালি শোনার মাইক হিসাবে সরকারের কাছের লোকদের পাইতেছে, তখন বিরোধীদের গালাগালি শুনতে সেভাবে চাইবেও না। তাতে যে ক্ষতিটা হবে, একসময় বিরোধীদের কাজের কথাগুলিও আর তারা শুনবে না।
তমিজী হক ও তার বিষয়ে সামগ্রিক কাণ্ডে- অর্থাৎ তার গালাগালি ও তারে গ্রেফতার না কইরা যেন তিনি নিজেই যেন একটা শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বিরোধী দল, এই মোতাবেক ফোকাস করার মাধ্যমে- সরকারের লাভই হইতেছে।
পরে গ্রেফতারের মাধ্যমে তারে আরো বেশি জনপ্রিয় করা যাবে। কখন যাবে তা নির্ভর করবে বিরোধী দলের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতির উপর।
হিরো এবং নূরের মত তিনিও জনতার রাজনৈতিক সমস্যাগুলিরে হাস্যকর ও কমপ্লিকেটেড কইরা তুলতেছেন। সত্যিকারের বিরোধী পক্ষগুলির গুরুত্ব তাতে কমতেছে। সরকার বিরোধিতার মাধ্যম হিসাবে গালাগালি যখন আপনারে বিনোদন দেয়, আপনার বিরোধিতাও তখন বিনোদনে রূপ নেওয়ার ঝুঁকিতে থাকে! তো আদম তমিজী হক আসলে কী করতেছেন?
তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বিরোধী দল বিএনপির উপর থিকা ফোকাস সরাইয়া নিজের উপরে নেওয়ার মাধ্যমে সরকারের উপকার করতেছেন। তমিজী হক বিরোধিতাগুলিরে হালকা ও হাস্যকর কইরা তুলতেছেন!
এইটারে প্রজেক্ট ধরেন আর অ্যাকসিডেন্ট ধরেন, সরকারের উপকারই হইতেছে তাতে। এবং বিরোধী পক্ষগুলির ক্ষতি। ব্রাত্য রাইসু: কবি, লেখক, সাংবাদিক। ফেসবুক: https://www.facebook.com/bratyaraisu
আপনার মতামত লিখুন :