শাহেদ আলম: গুলতেকিন আহমেদের (নুহাশের মা ) এক একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছিলো আমার কিছুকাল আগে। তার কবিতা, লেখালেখি ও প্রকাশিত বই নিয়ে। সেখানে আমি একটি প্রশ্ন করেছিলাম যে, আপনার লেখালেখিতে হুমায়ূনের প্রভাব বা ভূমিকা কতোখানি? সেখানে হুমায়ূনের প্রতি তার লুকায়িত বা অলুকায়িত কোনো শ্রদ্ধাবোধ আমার নজরে পড়েনি। মনে আছে তিনি পাশ কাটিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, তার দাদা বা নানার কথা যিনি ভারতীয় উপমহাদেশের নামকরা লেখক/কবি ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় সেই পারিবারিক আভিজাত্য থেকে, হুমায়ূনের লেখনির বিষয়ে তার কোনো উচ্চ ধারণা আমি পাইনি সেই সাক্ষাৎকারে।
গুলতেকিনের ছেলে নুহাশ আহমেদ তার ব্যতিক্রম কোনো মনোভাব পোষণ করবেন বলে আমাদের আশা করা ঠিক না। আমরা কেবল বাইরে থেকে হুমায়ূনের লেখনির এককালীন ভক্ত বলে সবকিছুকে আমাদের নিরিখে দেখতে ও মাপতে পছন্দ করি। সেটা ঠিক না। গুলতেকিন বা নুহাশরা মনে মনে একটা লোককে ঘৃণা করেন। নুহাশ তাঁর মাকে নিশ্চয়ই প্রতারিত হতে দেখেছেন ছোট বেলা থেকেই। আমরা কেন বারবার সেই প্রতারিত মুখগুলোকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি যে ‘হুমায়ূনের কারণেই কি তুমি গুলতেকিন বা নুহাশ?’ আমাদের ও চিন্তায় দৈনতা আছে। নুহাশের নামে যে স্বপ্নরাজ্য হুমায়ূন তৈরি করেছিলেন, সেখানেও তো বোধহায় নুহাশের কোনো প্রবেশাধিকার নেই এখন। লোকটা যে তার সন্তানদের মরার আগেই পিতৃহারা করেছিলেন, সে বাস্তবতাও আমরা ভুলে যাই কেন? লেখক বলে? লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :