ব্রাত্য রাইসু: নুহাশ আহমেদ কর্তৃক পিতার (হুমায়ূন আহমেদের) খ্যাতি বা মিডিয়া কানেকশন ব্যবহার, আবার একইসঙ্গে পিতার প্রভাব অস্বীকার খুবই ঠিক আছে। এইটা সবাই জানে, হুমায়ূনের নামের কারণেই নুহাশের মিডিয়া খ্যাতি তৈরি হইছে। তবে এই হুমায়ূন কেন্দ্রিক খ্যাতি যতোটা মিডিয়া বা পাবলিকের বিজনেস, ততোটা নুহাশ আহমেদের নয়। আমি বরং বলবো, নুহাশের মিডিয়ায় ঢুকতে পারার পিছনে যে হুমায়ূন ছিলেন সেই থাকাটারে নিজের প্রতিভা বা কাজের মাপে না দেখতে চাওয়াটা নুহাশের ওয়াইজ ডিসিশন।
আপনারাই বলেন, পিতার নামের কারণে পিতার মতো একই কাজ কইরা যদি মিডিয়ায় ঢোকা যায়, তা নিয়া কাউকে কেন গৌরব করতে হবে? তো হুমায়ূন আহমেদ নামক নেটওয়ার্কিং নুহাশও করছেন। তা নিয়া ভক্তি গদগদ হওয়ার কারণ নাই। হুমায়ূন আহমেদের পরিচিত আরো অনেকেই তো মিডিয়ায় চান্স ইত্যাদি লইছেন। নেটওয়ার্কিং মূল্যায়নের বিষয় নয়, বরং কাজের প্রক্রিয়া মাত্র। এইটারে অতিশায়িত করলে তার নিচে কাজ চাপা পইড়া যায়।
তো নুহাশ কি এই বললে ভালো হইতো যে, আব্বাকে সবাই চিনতেন, তাই আমাকে সবাই কাজে নিছেন। এই রকম বলাটা নিম্ন রুচির। মিডিয়া মানেই তো আমারে চিনবেন, তাই আমার ছেলেকে আপনি চিনবেন। কিন্তু কই, আরো বহু প্রতিভাবানদের ছেলেমেয়েরা তো মিডিয়াতে আদৌ জায়গা করতে পারে নাই। এখন তারা কি তাদের বাপ-মাকে নিন্দা করবে, কেন তাদের মিডিয়াতে জায়গা হইলো না সে কারণে? একই কারণে, নুহাশেরও মিডিয়ায় জায়গা পাওয়াটা একদমই বলার মতো কোনো বিষয় না। আর মিডিয়ায় নিজের প্রতিভা দিয়াই ঢুকতে হবেÑ এও একান্ত মিডিয়া বিরোধী কথা। এবং প্রতিভা মানেই আপনি নতুন কিছু তৈরি করেন। নিজের প্রতিভার কারণে কারও প্রতি আপনার ঋণ স্বীকার বস্তুত একপ্রকার মিথ্যাচার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :