শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: রেলের অনলাইনে কাটা টিকিটের প্রিন্টআউট কেন আবার স্টেশন থেকে নিতে হবে

আরিফ জেবতিক: লাঞ্ছনা-গঞ্জনায় অভ্যস্ত আমাদের জীবন, তাই রেলের টিকিট নিয়ে যে ধুন্দুমার অমানবিক কাজকর্ম চলছেÑ সেটিতে আমরা গা লাগাচ্ছি না। একটি টিকিটের জন্য মানুষ আগের রাত থেকে গিয়ে স্টেশনের মেঝেতে শুয়ে আছে, একবিংশ শতাব্দীতে এই দৃশ্যকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে কথাবার্তা বলা জরুরি। মানুষের মর্যাদা আছে, তাঁকে সেই মর্যাদা দিতে হবে। একটু সদিচ্ছা থাকলেই এই হয়রানি অনেকখানিই কমিয়ে আনা যায়। অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায়, কিন্তু সেই টিকিট পাওয়াও চ্যালেঞ্জিং। টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ‘সহজ’ এর এক বদমাশকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কালোবাজারিরা অনলাইনের টিকিটেরও একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল সমস্যাটা কী, কীভাবে এই সুযোগ তৈরি হলো সেটা দেখতে হবে। অনলাইনে কাটা টিকিটের প্রিন্টআউট কেন আবার স্টেশন থেকে নিতে হবে, সেটা আমি বুঝতে পারিনি। আপনি অনলাইনে টিকিট কেটে সরাসরি যেকোনো এয়ারলাইনে ফ্লাই করতে পারবেন, জাহাজে চড়তে পারবেন, বাসে চড়তে পারবেন, তাহলে রেলে চড়তে হলে কেন আবার লাইনে দাঁড়িয়ে রেল থেকে প্রিন্টআউট নিতে হবে- এটা কেউ ব্যাখ্যা করছে না।

এটার কোনো প্রয়োজনীয়তা আমি দেখিনি। যে কেউ প্রিন্টআউট নিয়ে, এমনকি এসএমএস দেখিয়ে সাথে নিজের এনআইডি দেখিয়েই ভ্রমণ করতে পারা উচিত। এনআইডি নম্বর আর নাম টিকিটে উল্লেখ থাকলে সেটি যথেষ্ট। রেলের অন্তত ৯০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে দিয়ে দেওয়ায় সমস্যা কী? বিশেষ করে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। অনেকেই বলবেন যে আমাদের লেখাপড়া না জানা লোকজন সমস্যায় পড়বেন। কিন্তু আমরা যদি অনলাইনে নিবন্ধন করিয়ে কোটি কোটি মানুষকে কোভিড ভ্যাক্সিন দিতে পারি, হাতে হাতে স্মার্টফোন দিয়ে যদি একেবারে গ্রামেগঞ্জের মানুষও টিকটকে নাচানাচি করতে পারে, তাহলে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন না, এরকম মানুষ খুব বেশি হওয়ার কথা নয়।

তাঁঁদের জন্য স্টেশনে ১০ শতাংশ টিকিট থাকল। সুরক্ষা অ্যাপ খুব ভালোভাবেই কাজ করছে, একই ভাবে ওটিপি ও এনআইডি সমন্বয়ে রেলের টিকিট ইস্যু করাও সম্ভব। সবার আগে প্রয়োজন মানসিকতা ঠিক করা। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হয়রানি কমিয়ে আনার নিয়ত থাকলে কোনো না কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। আর সেটার জন্যই আমাদের কথাবার্তা বলতে হবে। না হলে আমাদের রাতের পর রাত স্টেশনে একটা টিকিটের জন্য দাঁড় করিয়ে রাখার মানসিকতা থেকে কর্তাব্যক্তিরা মুক্ত হবে না। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়