আফসান চৌধুরী: নব্বইয়ের দশকে একবার লালনের মাজারে গিয়েছিলাম। রাতের দিকে গানের আসর। আমাদের খাতির করে বসালো। যারা গাইলো তাদের শ্রুতি মধুর লাগেনি। একজন বললো পাশ থেকে, ‘এরা সব ঢাকার লোক, এরা ফরিদা পারভীনের গান শোনে, মনে করে ওটাই আসল। আসলে এরা আসল। টিভিতে গাওয়ার জন্য সে অনেক উল্টা পাল্টা করে।’ বুঝলাম আপা এখানে পপুলার না।
[২] আমরা ঘুরে ঘুরে মাজারটা দেখছিলাম, হঠাৎ দেখি বেশ বড় একটা জলসা। ওদের ওখান থেকে গাঁজার গন্ধটা বেশ জোরেই আসছিলো। মুক্তভাবেই অনেকে খাচ্ছে, দুলছে ইত্যাদি। আমাদের দাঁড়াতে দেখে একজন বললো, ‘এরা হচ্ছে আসল লালন গায়ক। সাঁইজির সময় যে ভাবে গাইতো, তেমনি ভাবে এরা গায়, পরম্পরা এরাই রক্ষা করেছে।’ বেশ বেসুরা লেগেছিলো তবে যে পরিমাণ গাঞ্জা চলছিল, তাতে বেশ ইম্প্রেসড আমি [৩] আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সুমি ও তার মতো যারা গায়। এতে বোঝা গেলো সময়ের সাথে গান পাল্টায়। যেটা যার ভালো লাগে। ধন্য ধন্য বলি তারে।
লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :