শিরোনাম
◈ শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ◈ কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু ◈ কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ◈ সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র  সংশোধনে সুখবর ◈ অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ১৫ বিচারকের নথি চেয়েছে দুদক ◈ বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহযোগিতার আশ্বাস কাতার ফাউন্ডেশনের ◈ কাশ্মিরে হামলা: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ ভারতের ◈ আরাকান সদস্যদের ভিডিও পুরোপুরি সত্য নয়, আবার মিথ্যাও নয়: চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাদা সম্মেলন হবে: দোহায় প্রেস সচিব 

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:০৩ রাত
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার পছন্দের ৫০টি  বাংলা চলচ্চিত্র

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত: আমার দেখা বিদেশি ভাষার সেরা ৫০টি মুভির লিস্ট দিয়েছিলাম। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, লিস্টে কোনো বাংলা সিনেমা কেন স্থান পায়নি? আমি আসলে বাংলা সিনেমার সঙ্গে অন্য কোনো ভাষার সিনেমাকে মিশাতে চাইনি। আমার পছন্দের বাংলা সিনেমার একটি বড় তালিকা রয়েছে। তবে এখানে একটি কথা নিঃসংকোচে স্বীকার করতে হয়, সত্যজিৎ রায় পরিচালিত যতোগুলো সিনেমা দেখেছি প্রায় সবগুলোর মান প্রশ্নাতীত। ইচ্ছে করেই সত্যজিৎ রায়ের পাঁচটি চলচ্চিত্র এই তালিকায় রেখেছি। তালিকায় যেমন বিখ্যাত পরিচালক রয়েছেন, তেমনি অপেক্ষাকৃত তরুণ পরিচালকও রয়েছেন। এই তালিকা করতে গিয়ে মনে করছিলাম অকাল প্রয়াত পরিচালক তারেক মাসুদের কথা। মাত্র পনের মিনিটের চলচ্চিত্র ‘নরসুন্দর’ নির্মাণ করে তিনি বুঝিয়েছিলেন তাঁর উচ্চতা। খুব তাড়াতাড়ি তারেক মাসুদ চলে গেলেন, বাংলা সিনেমায় তাঁর অনেক কিছু দেয়ার বাকি ছিল। তৌকির আহমেদকে আমরা অভিনেতা হিসেবেই চিনি, তাঁর পরিচালিত বাণিজ্যিক ঘরনার  ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটি দেখে মনে হলো, দেশ ছেড়ে চলে না গেলে তিনিও বাংলা সিনেমায় একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারতেন। যাই হোক দুই বাংলার ৫০টি পছন্দের সিনেমার তালিকা দিলাম। পুরাতন দিনের ছবিগুলোর বেশির ভাগই বিটিভিতে দেখা।

[১] পথের পাঁচালী (সত্যজিৎ রায়, ১৯৫৫), [২] আগন্তুক (সত্যজিৎ রায়, ১৯৯১), [৩] হীরক রাজার দেশে (সত্যজিৎ রায়, ১৯৮০), [৪] অপুর সংসার (সত্যজিৎ রায়, ১৯৫৯), [৫] চারুলতা (সত্যজিৎ রায়, ১৯৬৪), [৬] পদ্মা নদীর মাঝি (গৌতম ঘোষ, ১৯৯৩), [৭] আয়নাবাজি (অমিতাভ রেজা চৌধুরী,  ২০১৬), [৮] হাওয়া (মেজবাউর রহমান সুমন, ২০২২), [৯] নরসুন্দর (তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ, ২০০৯), [১০] উনিশে এপ্রিল (ঋতুপর্ণ ঘোষ, ১৯৯৪), [১১] রানওয়ে (তারেক মাসুদ, ২০১০), [১২] সীমানা পেরিয়ে (আলমগীর কবির, ১৯৭৭), [১৩] তিতাস একটি নদীর নাম (ঋত্বিক ঘটক, ১৯৭৩), [১৪] জীবন থেকে নেয়া (জহির রায়হান, ১৯৭০), [১৫] চিত্রা নদীর পাড়ে (তানভীর মোকাম্মেল, ১৯৯৯), [১৬] ঘুড্ডি (সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, ১৯৮০), [১৭] নদীর নাম মধুমতি (তানভীর মোকাম্মেল, ১৯৯৪), [১৮] অজ্ঞাতনামা (তৌকির আহমেদ, ২০১৬), [১৯] দহন (শেখ নিয়ামত আলী, ১৯৮৫), [২০] মেঘে ঢাকা তারা (ঋত্বিক ঘটক, ১৯৬০), [২১] হঠাৎ বৃষ্টি (বাসু চ্যাটার্জি, ১৯৯৮), [২২] মাটির ময়না (তারেক মাসুদ, ২০০২), [২৩] একদিন প্রতিদিন (মৃণাল সেন, ১৯৭৯), [২৪] মনের মানুষ (গৌতম ঘোষ, ২০১০), [২৫] কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (সৃজিত মুখোপাধ্যায়, ২০২২)।

[২৬] শ্রাবণ মেঘের দিন (হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৯), [২৭] দেবী (অনম বিশ্বাস, ২০১৮), [২৮] জালালের গল্প (আবু শাহেদ ইমন, ২০১৪), [২৯] গেরিলা (নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ২০১১), [৩০] মনপুরা (গিয়াসউদ্দিন সেলিম, ২০০৯), [৩১] আমার বন্ধু রাশেদ (মোরশেদুল ইসলাম, ২০১১), [৩২] কমলা রকেট (নুর ইমরান মিঠু, ২০১৮), [৩৩] কাবুলিওয়ালা (তপন সিংহ, ১৯৫৭), [৩৪] সুতরাং (সুভাষ দত্ত, ১৯৬৪), [৩৫] আহা! (এনামুল করিম নির্ঝর, ২০০৭),   [৩৬] পরাণ (রায়হান রাফি, ২০২২), [৩৭] ওরা ১১ জন (চাষী নজরুল ইসলাম, ১৯৭২), [৩৮] ভাত দে (আমজাদ হোসেন, ১৯৮৪), [৩৯] ছুটির ঘণ্টা (আজিজুর রহমান, ১৯৮০), [৪০] নীল আকাশের নীচে (মৃণাল সেন, ১৯৫৯), [৪১] আগুণের পরশমণি (হুমায়ুন আহমেদ, ১৯৯৪), [৪২] শঙ্খনীল কারাগার (হুমায়ুন আহমেদ, ১৯৯২), [৪৩] গঙ্গাযাত্রা (সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, ২০০৯), [৪৪] লালসালু (তানভীর মোকাম্মেল, ২০০১), [৪৫] পরমা (অপর্ণা সেন, ১৯৮৫), [৪৬] স্বপ্নজাল (গিয়াসউদ্দিন সেলিম, ২০১৮), [৪৭] রুপালি সৈকতে (আলমগীর কবীর, ১৯৭৯), [৪৮] সুজন সখী (খান আতাউর রহমান, ১৯৭৫), [৪৯] লাইভ ফ্রম ঢাকা  (আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, ২০১৬), [৫০] নয়নের আলো (বেলাল আহমেদ, ১৯৮৪)। 
লেখক :  পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, বুয়েট এবং ফেলো, ইন্সিটিউটি অব ফিজিক্স, ইউকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়