শিরোনাম
◈ তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়ছে সরকার ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে নজর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ◈ নাতি-নাতনি বাদ, ঢাবিতে কোটা থাকছে শুধু মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ◈ প্রথমে গোল হজম করে চেলসিকে ৩ গোল দিলো  ম্যানচেস্টার সিটি ◈ সালাহর শততম গোল, ইংলিশ লিগে জয় পেলো লিভারপুল, আর্সেনাল ও নিউক্যাসল ◈ সুইডেন আসলামের দাবি তিনি সন্ত্রাসী নন (ভিডিও) ◈ সরকার ও ছাত্রদের সঙ্গে যেসব ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির ◈ এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রাখে রিয়াল মাদ্রিদ ◈ বাংলাদেশের জার্সিতে মার্চ মাসে মাঠে নামবেন লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরী ◈ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৩, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২৩, ০২:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোশ্যাল রিয়েলিটির সুড়ঙ্গ’ এবং বাংলা সিনেমার বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ

মাসুদা ভাট্টি

মাসুদা ভাট্টি: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সিনেমার বাতি নিভে গিয়েছিলো নব্বইয়ের দশকেই। কাটছাট করে মিলেনিয়ামের শুরুর দশকে যা হয়েছে তা আসলে সিনেমা কিনা তা নিয়ে নানাজনে নানা অভিমত দিয়ে থাকেন। দেশি সিনেমায় আমি এখনো ববিতা/রাজ্জাক/অঞ্জুু ঘোষে আটকে আছি। ফলে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বিশেষ বলি না কখনো।

যেমন বাজেট তেমন ছবি, কিংবা যেমন পরিচালক তেমন ছবি, এসব কথার কাল পেরিয়ে হঠাৎই বাংলা সিনেমা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, এই কিছুদিন হলো। হল নেই, হল নেইÑ মানুষের বিনোদন নেই এরকম হাহাকারের মধ্যে তরুণ পরিচালকেরা বাংলা সিনেমা নিয়ে বাজি ধরতে শুরু করেন, তাও কিছুদিন হয়। রায়হান রাফিও নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে একজন, সুড়ঙ্গ’র মতো একটি গল্প নিয়ে নাটকের অভিনেতা/অভিনেত্রীদের নিয়ে সিনেমা বানানো বাজি ধরা বৈকি। কিন্তু তিনি বাজিতে উতরেই গেছেন বলতে হবে। বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে সুড়ঙ্গ সফলতা পাবে এবং পাচ্ছে বলে দর্শকদের আলোচনা থেকেই টের পাওয়া যায়। 

প্লট হিসেবে সাধারণ, কিন্তু এই সময়ের ‘সোশ্যাল রিয়েলিটি’ বা সামাজিক বাস্তবতা হলো প্রবাসী শ্রমিকের নানাবিধ ভোগান্তিজাত অপ্রিয়। কিন্তু অত্যন্ত নিষ্ঠুর ‘রিয়েলিজম’। গোটা দেশের দেড় কোটি প্রবাসী শ্রমিকের ক্ষেত্রে একইরকম ঘটনা না ঘটলেও অনেকের ক্ষেত্রেই যে এটা ঘটে বা ঘটতে পারে তাতে সন্দেহের কিছু নেই। মানব মন, মানব শরীর, লোভ-লালসার রূপ ও প্রকাশ সর্বত্র একইরকম, এদেশও তার বাইরে থাকার কথা নয়।

বলিউডে এসব বাস্তবতা নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়ে গেছে বহু আগে, বাংলাদেশ পেছনে পড়ে ছিলো, রায়হান রাফি বিষয়টি নিয়ে গল্প লিখে তাকে আবার সিনেমার ভাষাতেও ভাষান্তর করেছেন এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। গল্পের বহু ডালপালা নেই, এক রৈখিক গল্প দু’জনকে ঘিরে কিন্তু গল্প বলা এবং অভিনয়গুণে একে বেশ টান টান অপেক্ষার সিনেমা বানানোর কৃতিত্ব পরিচালক, অভিনেতা সকলের। আরফান নিশোর নাটক দেখে ভালো লেগেছিলো। কিন্তু সিনেমার মতো বড় ক্যানভাসেও তার অভিনয়ে উপস্থিত দর্শক হতাশ হননি। তমা মির্জাও বেশ, খল চরিত্র হলেও তার জন্য দর্শকের একটু মায়াও বোধহয় লাগে। পরীক্ষামূলক কিংবা ফেস্টিভ্যালের সিনেমা নয়, সুড়ঙ্গ দেশের সিনেমা হলের জন্য, দেশি দর্শকের জন্য বানানো বাণিজ্যিক সিনেমা। বিস্তর ত্রুটি উল্লেখ করা যায়। কিন্তু তাতে বাংলা ছবির বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎকেই আক্রমণ করা হবে, সেটা আর না করি। দেখতে পারেন, সুড়ঙ্গ, প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালি দর্শক হিসেবে খারাপ হয়তো লাগবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়