ফজলুল বারী: [২] বাংলাদেশের মিডিয়ার নিউজের শিরোনাম বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র অনড়। বাংলাদেশটাকে তারা খুব ভালোবাসে। তাই এখানকার সবকিছুতেই তারা অনড়। বঙ্গবন্ধু হত্যা থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী পত্রিকায়্ বের করেন। সেখানেও দেখবেন সামরিক সরকারকে সমর্থন দেয়া নিয়ে তারা অনড় ছিলো। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বক্তব্য ছিলো? না হঠাৎ তাদের মনে পড়লো তাদের সমর্থনে সামরিক বাহিনীর হাতে গড়া দলটি অনেকদিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কালো হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া অনেকদিন ধরে রাস্তায় নেই। তারেক রহমান অনেকদিন ধরে তার বন্ধু মামুনের সঙ্গে দেখা করতে দেশে আসতে পারেন না! যুক্তরাষ্ট্রের মনে এসব নিয়ে অনেক কষ্ট। মোটকথা আওয়ামী লীগ এতদিন ধরে ক্ষমতায় তা মানা যায় না। কিন্তু বিএনপি যে নির্বাচন নয় সামরিক অভ্যুত্থান চায়। সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী সমর্থকদের চিরদিনের জন্য বহিষ্কার করে দিচ্ছে। ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।
[৩] ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত ব্রিফিং হয়। সময় টিভির নিউজে দেখলাম সেই ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার মিডিয়া টিমের সাবেক এক সদস্য মুখপাত্রকে সে রকম একটি প্রশ্ন করে উত্তর বের করার চেষ্টা করছেন। এভাবেই কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে নানান নিউজ তৈরি করা হয়। সময় টিভি প্রশ্নকর্তার পরিচয়সহ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের ভিডিও ক্লিপ দেখানোয় এখানে তা স্পষ্ট হয়েছে। আবার মানবজমিনের রিপোর্টে ওই প্রশ্নকর্তার পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এভাবে মাঝে মধ্যে অনেকের মনে হবে আমেরিকায় বুঝি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রায় কর্মকর্তারা বলেন। বাংলাদেশের মতো খারাপ দেশ আর নেই। দুনিয়ার মানুষের কি এতো সময়? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই ভিডিও ক্লিপটির কথা মনে আছে না? বাংলাদেশের একজন আমেরিকায় আশ্রয় পেতে ট্রাম্পকে বলছেন সব হিন্দু দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর ট্রাম্প জানতে চাইছেন বাংলাদেশটা কোথায়। দেশটাকে নিয়ে এমন যে যার মতো করে খেলছেন। লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :