শোয়েব সর্বনাম: পৃথিবীর যেকোনো বড় পুরস্কার, এমনকি নোবেল পর্যন্ত, লবিস্ট নিয়োগ না করলে পাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। দুনিয়ার অনেক বড় প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কাম এইসব লবিং করতে থাকা। এজেন্টরা টাকা পয়সা দিয়া লবিং করাইতে থাকে যাতে বাজারে বইয়ের বিক্রি বাড়ে লেখকের অত খবরও রাখা লাগে না। বাংলাদেশে এরকম কোনো সিস্টেম নেই। আমাদের সিস্টেম হইলো সাহিত্যঘনিষ্ঠ বিভিন্ন দলে যোগ দিয়ে মদ খেয়ে জেনে নিতে হবে কমিটিতে কারা আছে। যেহেতু কবি সাহিত্যিকদের টাকাপয়সা নেই, ফলে এই লাইনে উপঢৌকনের চল তেমন নেই। কবি-সাহিত্যিকরা কমিটির লোকেদের ফোন করে বিভিন্ন ধরনের উপকার করার প্রস্তাব দিতে থাকেন।
কমিটির লোকটা একসময় উপকারী লোকেদের যে কারও টোপ গিলে ফেলবেন। তখনই ভিত্রে ভিত্রে সবাই জেনে যাবেন পুরস্কারকে পেতে যাচ্ছে। সেইসময় দেখা গেলো কোনো লেখক ভিতরের লোকেদের কাছে জানায়ে দিলো এইবার পুরস্কার না পেলে তিনি সুইসাইড করবেন। তখন তারে ধরে এনে পুরস্কার দিয়ে দেওয়া হয়। আর এমন কোনো ঘোষণা না আসলে আলোচিত লোকটিই পুরস্কার পেয়ে যায়। এখন যাদের অনেক বয়স হইছে, সব ধরনের আড্ডায় যোগ দেয়ার শারিরীক অবস্থা আর নেই, আবার এখনো পুরস্কার পাননি, তারা লাইনঘাট হারায়ে ফেলছেন। এখন হল্লা শুরু করছেন। আমাদের পাবলিশিং ইন্ডাস্ট্রির প্রফেশনালিজমের অভাবে এই ম্যাসাকার পরিস্থিতির সৃস্টি হইছে বলে আমার সন্দেহ। আমাদের লেখকদের এজেন্ট এবং পুরস্কারগুলোর লবিস্ট নিয়োগ দেয়া দরকার। লেখক: কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :