আকতার বানু আল্পনা: বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির সব খারাপ কাজের দায়-দায়িত্ব অত্যন্ত সযত্নে বাড়ির বৌয়ের ঘাড়ে তুলে দেওয়া হয়। যেমন, স্বামী রোগা হলে তার দায় বৌয়ের। কারণ নিশ্চয়ই বৌ স্বামীকে ঠিকমতো খেতে দেয় না। স্বামী মোটা হলে তার দায়ও বৌয়ের। কারণ বৌ স্বামীকে বেশি বেশি খাওয়ায়। বৌ মোটেই স্বাস্থ্য সচেতন না। স্বামীর মাথায় চুল কমে গেলে তার দায়ও বৌয়ের। কারণ বৌ এতো বেশি প্যারা দেয় যে, স্বামীর মাথার চুলই পড়ে যাচ্ছে। স্বামী হিসাবী হলে বৌয়ের দোষ। কারণ বৌ কিপটা। স্বামীকে খরচ করতে দেয় না।
স্বামী খরচ বেশি করলে সেটাও বৌয়ের দোষ। কারণ বৌ নিশ্চয়ই উড়নচণ্ডী বা হাভাতে স্বভাবের। সে স্বামীকে পথে বসাতে চায়। স্বামীর অসুখ করলে বৌ ঠিকমতো যত্ন করে না। স্বামী পরকীয়া করলে নিশ্চয়ই বৌ খারাপ। স্বামীর চাহিদা মেটাতে পারেনি বা ভালোবাসেনি। তারপর বাচ্চা হলে বাচ্চাদের সব দোষও বৌয়ের। যেমন, বাচ্চা দুষ্টু হলে বৌ আদব শেখায়নি। বাচ্চা রেজাল্ট খারাপ করলে বৌ ঠিকমতো দেখেনি/পড়ায়নি। বাচ্চা রোগা হলে খাওয়ায়নি, মোটা হলে বেশি খাইয়েছে। ইত্যাদি মিত্যাদি।
অনেকে বলতে পারেন, সব দায়িত্বই যদি বৌয়ের হয়, তাহলে স্বামীর দায়িত্ব কী? বৌয়ের কী কী দ্বায়িত্ব পালন করা উচিত ছিলো, তা মনে করিয়ে দেওয়া এবং কেন সে দ্বায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করেনি, তার কৈফিয়ত তলব করা। ওফ্ মাগো। কী বিরাআআআট দায়িত্ব। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :