সুপ্রীতি ধর: বার্তা বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, যে নিউজের জন্য এতো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে, তার দায় যে সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানের নেই, সেই কথাটাই ভুলে গেছে তাবৎ মহল। একজন প্রতিনিধি একটা নিউজ পাঠায়, সঙ্গে ছবি পাঠায়। তারপরের কোনো কিছুতেই আর তার কোনো ভূমিকা থাকে না। সেই নিউজ ছাপা হবে কী হবে না, ছাপলে কোন পেইজে যাবে এবং ছবির ক্যাপশান অনেক সময় প্রতিনিধি লিখে দিলেও সবকিছু পাল্টে যায় বার্তা বিভাগে এসে (আমি নিজে অসংখ্য ছবির ক্যাপশান লিখেছি। প্রতিনিধিরা অনেক সময় ভালো ভালো ছবি পাঠায়, সেগুলোতে মানবিক গল্প লেখার কাজটা আমিই অনেকদিন করেছি। এমনও হয়েছে সেই ক্যাপশান পড়ে সেই ছবির জন্য ফান্ড পর্যন্ত উঠে গেছে। ভাগ্যিস তখন একাত্তর টিভি ছিলো না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও ছিলো না)।
বার্তা বিভাগই সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক, সঙ্গে আছে গেটকিপাররা। তবে প্রতিনিধিদের নিউজের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই আর গেটকিপাররাও লাগে না যদি না সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কোনো নিউজ হয়। বার্তা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিফট ইনচার্জ বা এমনকি সহ-সম্পাদকরাও এই কাজটি করে থাকেন। যারা সামান্যতম সাংবাদিকতার জ্ঞান রাখেন তাদের এই বিষয়টা জানা থাকার কথা এবং এই অভিজ্ঞতা তাদেরও থাকার কথা। এখন সাংবাদিকতার মাঠে নেমেই যদি কেউ ‘মহাপরাক্রমশালী’ সাংবাদিক বনে যান, ধরাকে সরা জ্ঞান করেন, ‘আমার লেখায় কেউ হাত দিতে পারবে না’ বলে জাহির করেন (এরকম লোকজনের দেখা আমি পেয়েছি টিভিতে কাজ করতে গিয়ে), তাহলে তাদের ‘জ্ঞান’ সেই পর্যায়ের। সেখানে আমার মতোন চুনোপুঁটিদের স্থান নেই।
সুতরাং কোনোভাবেই, কোনো প্রকারেই আমি নিউজের জন্য শামসুজ্জামানকে দায়ী করা, গ্রেপ্তার করাকে সমর্থন করছি না। করবোও না। আর এতোবার ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করাকেই কোনোভাবেই আমি ‘সুস্থ মানসিকতা’ বলতে পারছি না। প্রথম আলোতে কাজ করেছি বলেই বলছি না, একটা ঘোরতর অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি একজন সাংবাদিক হিসেবে, একজন এখনও সুস্থ মানুষ হিসেবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :