শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী : বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে দেশপ্রেমের রাজনীতি শিখতে হবে বিএনপিকে

দীপক চৌধুরী : বিএনপি হাঁপানি ও রাজনৈতিক দূষণে আক্রান্ত এখন। অবিশ^াস্য হলেও সত্য যে,  একের পর এক মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানারকম অপপ্রচার করা দলটির  রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে যাচ্ছে’ তাদের নেতারা এটাও প্রচার করছে। ঈদের পর কঠোর আন্দোলন, জোরে ঠেলা দিলেই আওয়ামী লীগ সরকারের  পতন ঘটবে এসব কথা শুনছি একযুগ ধরে। এখন ঘনঘন সরকার পতনের কথা প্রচার করছেন দলটির নেতারা। ফলে এসব কথা এখন জনগণের হাসির খোরাক। 

বগুড়ার কৃষকের ২৫ টাকার বেগুন ঢাকায় এসে ৮০ টাকা হয় কীভাবে- এ প্রশ্ন তাদের মুখে নেই। দলটির নেতারা অনুসন্ধানের প্রয়োজন মনে করেন না।  টিপ পরা নিয়ে কোনো কথা নেই। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির ওপর বার বার আঘাত আসছে  কেনো এসব বিষয়ে চুপ দলটি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু সুলতান যখন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, ‘কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে দেখান ?’ তখন বিএনপির নেতারা দেখায় না। আলুর বাম্পার ফলনের পর এর রপ্তানি নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক যখন বললেন, আলু নিয়ে কী করবো বুঝতে পারছি না। কারণ, রাশিয়া-শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করা ছিল আমাদের প্রধান জায়গা। তখন কিন্তু বিএনপির কোনো নেতার  ‘কী করা যায়’ বা বী করা উচিৎ এমন  পরামর্শ নেই। বিশ^জুড়ে অতিধনীর সংখ্যা বাড়ছে- এ সত্য দলটির নেতারা জানেন কিনা আমরা জানি না। রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এটি বাড়ছে। অথচ বিএনপি দলটি শুধু বাংলাদেশ নিয়ে পড়ে আছে। আসলে ‘মতলববাজি’ রাজনীতি কখনো জনগণের  ভেতর  শান্তি এনে দিতে পারে না। 
 

আমরা জানি, হাঁপানি ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত অবস্থা। বিএনপির রাজনৈতিক হাঁপানি হচ্ছে এরকম যে,  দলের  ভেতরের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে গেছে। এই প্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই, নেতা-কর্মীদের মানসিক শক্তিকে চাঙা করার জন্য দলের শীর্ষক্ষেত্রের নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন জরুরি। ২০১৮- তে নির্বাচনপূর্বে   ঐক্যের নামে কী হয়েছিল তা আমরা জানি। নির্বাচন করা হয়েছিল কিন্তু  লাভ হয়নি। নির্বাচনে যাওয়ার আগে ‘হাতিঘোড়া’ কতকিছু শুনলো একদল নেতার মুখে। অথচ ফলাফলে কী দেখলাম? কারণ, মানুষ দলের প্রতি ক্ষুব্ধ নয়, দলের কিছু নেতার প্রতি মারাত্মক ক্ষুব্ধ ছিল। আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এস এম কিবরিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাঁরই পুত্র রেজা কিবরিয়া হত্যাকারীদের  মোর্চা থেকে কীভাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন? ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ করা অনেক লোকই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছিল।  তা-ই নির্বাচনে গিয়েও লাভ হয়নি। জনগণ দেখেছিল বিএনপির ‘রাজনৈতিক তামাশা।’ এদেশের জনগণ দণ্ডিত দলপ্রধান, ভারপ্রাপ্ত দলপ্রধান, মা- ছেলের দলকে চায় না। এটা পরিষ্কার যে,  জনগণের মন জয় করতে পারলেই কেবল ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব! শোনা যায়, এ জন্যে দক্ষ নেতৃত্ব চায় দলের কর্মীরা। বিলম্বে হলেও দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন জরুরি এটা দলটির অনেকেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু বলার ক্ষমতা নেই তাদের।  এ দলে কী যুক্তিবাদী ও মুক্তমনের গণমুখী নেতা নেই।  দলটির একাংশ নেতা  যখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লন্ডনের এক নেতার নির্দেশে উল্টোপাল্টা কৌশল গ্রহণ করছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার কৌশল নিচ্ছে ঠিকই  তখন দলের অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। অথচ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রধান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণের চিন্তা মাথায় রেখে রাজনীতি পরিচালনা করছেন। অতিদরিদ্র মানুষের পুনর্বাসনের চিন্তা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকানাবিহীনদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন এবং এত বিপুল সংখ্যক গৃহহীন মানুষকে জমিসহ  গৃহ প্রদান বিশ্বের এক অনন্য নজির। মঙ্গলবার (২৬-০৪-২২) তাঁর সরকার তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৪০৯টি ঘর করে দিয়েছেন । 

আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রাঙ্গণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও  গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের খবর দেখলাম টিভিতে। তিনি গণভবন  থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়িয়েছেন। এতেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশ একদিন  সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। একারণে ঈদের আগে গৃহহীন পরিবারে ঈদের আনন্দ  পৌঁছে  গেছে। এটাই হচ্ছে জনগণের রাজনীতি। যা দুনিয়ায় এর নজির নেই। 

যারা রাজনীতি করে মানুষের জন্য সেই দলের নেতাকে মানুষ ভালবাসে । যারা দেশের জন্য কিছু করে,  দেশের জনগণের জন্য কঠোর পরিশ্রম কওে, অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের দুঃখের খবর রাখে, মনের খবর রাখে জনগণ সেসব নেতাকে মনে রাখে। দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭  থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয় বলে সাংবাদিকদের  জানান  জ্যেষ্ঠ সচিব  তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়