শোয়েব সর্বনাম: একবার নরসিংদি রেলস্টেশনের ভিক্টিমদের মতো একটা সিচুয়েশনে পরছিলাম, লগে ফ্লোরা। আমাদের লোকেশন ছিল যশোর, মনিহার সিনেমা হলের উল্টপাশে। আমরা দুজন ফুরফুরা স্টাইলে নড়াইল যাচ্ছি বেড়াতে। নড়াইলের ভালো বাস না পেয়ে যশোরের বাসে উঠছি। পরিকল্পনা, মনিহার নেমে সেখান থেকে অটো ভাড়া করে যশোর রোড ধরে নড়াইল যাবগা। তো, যশোর নেমে ফ্লোরাকে বসায়ে রেখে আমি গেছি বাস কাউন্টারের ওয়াশরুমে। বের হয়ে দেখি সেইখানে তো কেউ নাই!
কাউন্টারের বাইরে দেখা গেলো ফ্লোরাকে ঘিরে ছোটখাট একটা ভীড় জমে গেছে। ভীড়ের মাঝখানে সে সিগারেট একটা ধরায়ে চিমনির মতো ধোয়া ছাড়তেছে। আমি কাছাকাছি গেলে কিছু লোক ভেগে গেলো। ফলে পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যায় নাই। তবে তাদের লগে তর্ক-বিতর্কের বিস্তারিত লিখে ফ্লোরা একটা পোস্ট দিছিল মনে হয়। তখন ব্যপারটা খুব হাস্যকর লাগতেছিল আমাদের কাছে। লোকগুলা চোখ বড় বড় করে তাকায়ে ছিল। তাদের খুব দ্বিধাগ্রস্ত দেখাচ্ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এক সুন্দরি বড় রাস্তার পাশে রোদে দাঁড়ায়ে সিগারেট টানতে থাকলে তাদের কি করা উচিত সেইটা লোকগুলা বুঝে উঠতে পারতেছিলো না। তবে তারা এ ঘটনার মৃদু প্রতিবাদ জানায়।
একসময় অতিথিপরায়ন জাতি হিসেবে বাঙালিদের সুনাম ছিল। এক অঞ্চলের লোক অন্য অঞ্চলে ভ্রমণে গেলে স্থানীয়দের কাছে বিশেষ সমাদর ও ভালোবাসা লাভ করতো, যদিও তাদের ভাষা, বর্ণ, ধর্ম ও আচরণ ভিন্ন। এখন অন্যরে নিজেদের মতো না দেখালেই কিছু লোক ক্ষেপে যাচ্ছে। নরসিংদিতে দেখা যাচ্ছে তারা শারীরিক আক্রমণ করে বসছে। আমার মনে হয়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ট্রিপল নাইনে ফোন করা কর্তব্য। তারা যা করতেছে সেইটা যে ক্রাইম, বিচারের আওতায় আসার পর হয়তো সেইটা তারা বুঝতে পারবে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :