জাতির পিতাকে হারিয়ে আমরা তার তথ্য ভান্ডার আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে পেয়েছিলাম। তার অনন্য সৃষ্টি মাঝে ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা ও আমরা বাংলাদেশি না বাঙালি। বাংলার বাণী পত্রিকার নিয়মিত সম্পাদকীয় কলাম ছিলো। আমরা শাপলা কুড়ির আসরের বন্ধুরা নিয়মিত পড়তাম। একসময় বই আকারে প্রকাশিত হলো। ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা ও আমরা বাংলাদেশি না বাঙালি বই সৃষ্টি না হলে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আমরা জাতির কাছে কিছুই বলতে পারতামনা। ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা রাজনৈতিক রহস্যে ঘেরা। কত-না নেতার চরিত্র হরণ, কত-না নেতার আত্মদান সম্মিলিত ঘটনা বহুল ইতিহাস সৃষ্টি করে গিয়েছেন ধীরে বহে বুড়িগঙ্গার মাধ্যমে।
বাঙালি জাতি নিজেকে নিয়ে ভাবেনা বিষয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ। রাজনীতি করলে ইতিহাস নিয়ে ঘাটতে হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ কী ও কীসের জন্য এর উত্তর তাদের জানা নেই। কেন মৌলবাদীরা আমাদের বাংলাদেশি বানিয়েছিলেন? আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা আমরা বাংলাদেশি না বাঙালি বইটি পড়া থাকলে অনেক বিষয় আপনি বলতে ও লিখতে পারতেন। জাতীয়তাবাদ ছাড়া জাতির পরিচয়, খুটা ছাড়া ঘরের মতো। মৃত্যুর স্বাদ প্রতিটি প্রাণিকেই গ্রহণ করতে হবে। কিছু মানুষের মৃত্যু অতৃপ্ত হয়ে থাকে। যারা দেয়ে, তাদের কাছে আশার শেষ থাকে না। জাতির পিতা বাঙালি জাতির আশা পূরণ করে পারেনি, পারেনি আব্দুল গাফফার চৌধুরী। পারবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব আব্দুল গাফফার চৌধুরীর স্বাভাবিক মৃত্যু বাঙালি জাতির অস্বাভাবিক ভাবনার জগতে নিমজ্জিত করেছে। গানের ভুবনে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি যখন আসবে। একজন বাঙালি বেঁচে থাকতে গাফফার চৌধুরীর মৃত্যু হতে পারে না। বাঙালির মনের মাঝে বন্দি করে রাখা হবে। সৃষ্টির কি মৃত্যু আছেরে ভাই।
লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :