কাকন রেজা: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ যখন স্পিকার ছিলেন সম্ভবত সেই সময়ের রুলিং ছিলো ‘সাংসদ’ শব্দটি না ব্যবহারে। যদি ভুল না করি তবে শব্দটির কোনো আভিধানিক অস্তিত্ব নেই। নিজে কখনো লিখিনি। ‘সংসদ সদস্য’ লেখার পর অনেক মাধ্যমে সম্পাদনা করে ‘সাংসদ’ করে দেওয়া হয়েছে। আপত্তি জানিয়েছি, কখনো মানা হয়েছে, কখনো হয়নি। কেন হয়নি তার ব্যাখ্যাও কেউ দিতে পারেননি। মূলত ব্যাখ্যাহীনভাবেই শব্দটি ব্যবহার হয়ে এসেছে এতদিন। যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ‘আদিবাসী’ শব্দটি। কে ‘আদিবাসী’ তা চিহ্নিত না করেই ইচ্ছেমতো ‘আদিবাসী’ তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ‘সাংসদ’ শব্দটিও তেমনি ইচ্ছে কিংবা খেয়ালখুশির নিদর্শন। সম্ভবত এসবের উৎপত্তিস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে বাংলা ক্রমেই একটি জগাখিচুরি ভাষায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ‘আনন্দবাজার’ গোষ্ঠী তো রীতিমতো বাংলার বলাৎকার করে চলেছে। বাংলা চর্চার কেবলা পরিবর্তন হওয়ার পরও অনেকে দাস প্রবৃত্তি ত্যাগ করতে পারেননি।
জমিদার তোষণের স্মৃতি অনেকেই পরম্পরায় বহন করে চলেছেন। যে কারণে ঢাকার চেয়ে কলকাতার প্রাধান্যই তাদের কাছে বেশি। শব্দ বিষয়ে আরও কিছু অদ্ভুত ব্যাপার প্রচলিত রয়েছে আমাদের গণমাধ্যমে। যেমন, আদালত একটি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নয়। অথচ আদালতের আদেশ বিষয়ে লিখতে গিয়ে লেখা হচ্ছে, ‘আদালত রায় দিয়েছেন’। অদ্ভুত না! প্রতিষ্ঠান আর ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন বাক্যে। যা মূলত ভুল। আর রয়েছে চন্দ্রবিন্দু’র অযাচিত বা যথেচ্ছা ব্যবহার। অবশ্য যে দেশে প্রচলিত ঈদ বিস্ময়কর ভাবে ‘ইদ’ হয়ে যায়, গরু হয় ‘গোরু’ সেখানে অন্যদের দোষ দিয়েই বা কী লাভ।
আপনার মতামত লিখুন :