রওশান আরা মুক্তা: বইমেলায় আমার চরম ব্যস্ততম সময়ে রান্না-খাওয়া ঠিক ছিলো না। প্রায় দিনই দুপুরে হোটেলে খেতাম। একদিন খেয়ে কাউন্টারে বিল দেওয়ার সময় দেখলাম, রাস্তার ওপাশেই টিসিবির ট্রাক। স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার লাইন। এক নারী প্রায় ১০ কেজির মতো পেঁয়াজ নিয়ে হোটেলে এসে বিক্রি করে রেখে গেলেন। নিয়মিতই করেন তিনি কাজটা। হোটেল মালিক একটু কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন, আর সেই নারী সকাল থেকে দুপুর অব্দি লাইনে দাঁড়িয়ে হয়তো কেজিতে ১০-১২ টাকা লাভ করেছেন। এই টাকাটুকুই তার একদিনের উপার্জন। তার হয়তো পেঁয়াজ ছাড়াও খাওয়া চলে যাবে, কিন্তু চাল ছাড়া চলবে না। আজ জানলাম ৫০ টাকা কেজির চাল ৬২ টাকা হয়েছে মাসখানেক ধরে।
আর সাধের পেঁয়াজ? রাতে বাড়ে, দিনে কমে। আবার বাড়ে আবার কমে। তবে দাম বাড়তিই। এখন পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নের গালগপ্পোগুলো কেন করি আমরা? সাধারণ মানুষ যেখানে দিনের খাবার ম্যানেজ করতেই হিমশিম খাচ্ছে, বিরিয়ানির স্বপ্নে কীভাবে বিভোর থাকি? মেগা প্রজেক্টের ঋণের মাসুল এই নিম্ন আয়ের মানুষদেরই দিতে হয়, হচ্ছে। ফাস্টেট ইকোনোমিক্যাল গ্রোয়িং কান্ট্রি মানে দ্রুতগতিতে গরিব হচ্ছে সাধারণ মানুষ বা যাকে আমরা মেজরিটি মানতে নারাজ। এরাই দেশ চালায়, এরাই ৯০ ভাগ। এদের খেয়েই বড় বড় চেয়ারগুলোতে বসে থাকা যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :