পারভেজ আলম: বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে কারণটা কী? মজুতদারীর মাধ্যমে কৃত্তিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কী? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের অভাব হবে কেন? মজুতদারী ছাড়া অন্য কোনো কারণ যদি কারো জানা থাকে দয়া করে তথ্য উপাত্ত সমেত জানাবেন। তেলের একটা সংকট এই মুহূর্তে ইউরোপে আছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম নিজের ব্যক্তি জীবনে এর প্রভাব টের পাইছিলাম তেল কিনতে গিয়াই। আমি সূর্যমুখী তেলে রান্না করি, সেই আঠারো উনিশ বছর বয়স থেকে। তার আগে সয়াবিন তেল খাওয়ার কারণে ভয়াবহ গ্যাসট্রিকে আক্রান্ত হইছিলাম।
তো ঔষুধের পেছনে টাকা খরচ করার চাইতে আরেকটু দাম দিয়ে সূর্যমুখী তেল খাওয়া ভাল, এই তত্ত্ব মাইনাই চলছি এর পর থেইকা। আর এইখানকার সুপার মার্কেটগুলায় চলেই মূলত সূর্যমুখী তেল আর অলিভওয়েল। সূর্যমুখী তেলটাই এইখানে সস্তা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর সূর্যমুখী তেল ধুম কইরা হাওয়া হইয়া গেল। এখন বাধ্য হইয়া অলিভওয়েল খাইতে হইতাছে। রান্নার সময় তেল নিয়া কিপটামি করতে হইতাছে।
আর সয়াবিন তেল তো এইখানে এমনিতেই খুব এভেইলেবল না। থাকলেও যে কিনতাম তা না। আমি গরিব হইতে পারি, তাই বলে বিষাক্ত তেল খাইয়া অসুখ বাড়াইয়া কষ্ট পাওয়া এবং ওষুধের পিছনে আরো বেশি টাকা খরচ করার মতো সেন্সলেস কাজতো করতে পারি না। সয়াবিন তেলের মতো একটা বিষাক্ত তেল উন্নত বিশ্বের মানুষ কমই খায়। মূলত ক্যাপিটালিস্ট ডিস্টোপিয়ার ভাগারে বসবাস করা গরিবেরাই এই বিষ দিয়া রান্না করে। অতঃপর প্রেসক্রাইবড এবং পেসক্রিপশনহীন নানান রাসায়নিক ঔষধ শরীরে ঢুকায় যন্ত্রনা কমাবার জন্যে। কিন্তু আমাদের দেশের মজুতদাররা এতোটাই জালেম যে আপনাদেরকে এখন এই বিষটুকুও বেশি দামে খাওয়াইতাছে। অবশ্য আমাদের মাছ, মাংস, ফল, সবজি সবকিছুতেই বিষ। ওই গুলাওতো আমরা প্রায় ইউরোপের মানুষের সমান মূল্য দিয়াই খাই। এইটাই প্রেকারিয়েতদের জীবন। জুলুমের জীবনে বসবাস করতে করতে একটু কম জুলুমের শিকার হওয়ার জন্যে হাহাকার করা। এই ডিস্টোপিয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নাই, এইটা মাইনা নেওয়া। অতঃপর, আরেকটু কম দামে বিষ খাইতে চাওয়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :