শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২০ মে, ২০২২, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনীতিতে একটু হাসি-ঠাট্টা থাকলে খারাপ হয় না!

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: রাজনীতিতে একটু হাসি-ঠাট্টা থাকলে খারাপ হয় না। আমি তো বলব যে হাসি ঠাট্টা বা একটু খোঁচা দিয়ে কথা বলা এইগুলো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিরই অংশ। যারা এখনো রাজতন্ত্রের রাজা-প্রজা ও আশরাফ-আতরাফ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি ওরা নিজেদের সরকার প্রধানকে রাজা/রানী বা সবচেয়ে অভিজাত বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি মনে করেন আর নিজেদের দাস। ওরা প্রধানমন্ত্রীর মুখে রসিকতা ঠাট্টা বা খোঁচা দেওয়া কথা শুনলে বলেন যে না, প্রধানমন্ত্রীর মুখে এইরকম কথা মানায় না ইত্যাদি। কেন ভাই, প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট কি রামগরুড়ের ছানা? আমি মানুষের কথার সমালোচনা করতে চাই কন্টেন্ট ধরে, ফর্ম ধরে নয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। ঠাট্টা রসিকতা আর বেয়াদবির মধ্যে সুক্ষ একটা পার্থক্য তো আছেই। কিন্তু এই যে বললাম ঠাট্টা রসিকতা বা সমালোচনার ক্ষেত্রে নানারকম উপমা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তীব্র খোঁচা দিয়ে কথা বলা এইগুলো জায়েজ আছে- এই কথাটা দুইদিক দিয়েই সত্যি। কেবল রাজা আপনাকে ইয়ের ভাই বলবে আর আপনি আনন্দিত হবেনÑ এইটা তো ঠিক না।

ইয়ের ভাই বলার চর্চা যদি করতেই হয়, তাইলে রাজা যেমন আপনাকে আদর করে ইয়ের ভাই ডাকবে, সেরকম আপনিও রাজাকে সইয়ের ভাই ডাকার অধিকার রাখেন। রাজা যদি বলেন তোকে গাঙে চুবিয়ে সাফাই করবো, তাইলে আমারও অধিকার আছে বলার যে, মহারাজ আপনাকে তার আগে ল্যাঙ্গি মেরে গাঙে ফেলে দিব। এইটা গণতন্ত্র। আমি উদাহরণ দিচ্ছি না, কিন্তু আপনি একটু খুঁজলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অসংখ্য উদাহরণ পাবেন এইরকম গণতান্ত্রিক বচন বিনিময়ের। আমেরিকানরা এই ব্যাপারে একটু বেশিই অগ্রসর, দেশের প্রেসিডেন্ট বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লোকেদের নিয়ে ঠাট্টা না করলে ওদের সান্ধ্যকালীন ভোজ হজম হয় না। ওদের কৌতুক ও রসবোধ আমাদের রুচিতে অনেক সময় একটু বিস্বাদও লাগে বটে। ইংরেজরাও কম যায় না, তবে ইংরেজরা একটু রক্ষণশীল আর ওদের ভাষাও একটু সংস্কৃত। তবে মূল যে কথাটা, লিবার্টি- যে, কথা সাধারণত মানুষের অধিকার খর্ব করে না এবং কথার জন্যে চট করে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক না এই ব্যাপারে ইংরেজরা ও আমেরিকানরা দুইই প্রায় সমান অগ্রসর। জন  স্টুয়ার্ট মিল সাহেবের যে লিবার্টির ধারনা পশ্চিমে সেটাকে কম বেশি প্রায় সকলেই মেনে চলেন। মানুষের কণ্ঠ রুদ্ধ করা যাবে না। এই জন্যে কটু কথাকে সাধারণত ওই সব দেশে অপরাধ বিবেচনা করা হয় না। 

আমাদের এখানে একটা মুশকিল হয়েছে যে সামান্য কটু কথার জন্যে বা অপ্রিয় কথার জন্যে নাগরিকদের ধরে নিয়ে জেলে পুরে দেওয়া হয় কিন্তু সরকারের লোকেদের জন্যে আবার সবকিছুই জায়েজ। এইটা ঠিক না। আমি মানুষের কথা বলার অধিকারকে কোনোভাবেই খর্ব বা সীমিত করার পক্ষে না, কোনোভাবেই না। কথা বলার অধিকার অবারিত হওয়া দরকার, আর সেই অধিকার, বিশেষ করে ঠাট্টা রসিকতা হাসি তামাশা তিক্ত কটু কথা বলার অধিকার সকলের জন্য একই হওয়া দরকার। কেউ কটু কথা বললে বলুক, কিন্তু অপরপক্ষ যেন আপনার জন্যেও একইরকম কটু কথা বলতে পারে সেই অধিকার নিশ্চিত করুন। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়