শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০২:১০ রাত
আপডেট : ২০ মে, ২০২২, ০২:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সয়াবিনের সংকট ও রাইস ব্র্যান

আমীন-আল রশীদ

আমীন-আল রশীদ: বাজারে রাইস ব্র্যান বা কুঁড়ার তেল আসার পর থেকে দীর্ঘদিন আমরা এটা দিয়ে রান্না করেছি। তখন সয়াবিনের লিটার ছিল ৮০ টাকা বা তারও কম। কিন্তু রাইস ব্র্যান তখন কিনতাম প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে, কারণ এটা আমাদের কাছে বেটার মনে হয়েছিল এবং এটা স্বাস্থ্যকরও। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলাম, আমরা যে তেলটি কিনতাম, ‘স্পন্দন’ সেটা বাজারে নেই। কেন নেই তার সদুত্তর পেলাম না। কিছুদিন পরে দেখলাম বাজারে এসিআই ব্র্যান্ডের রাইস ব্র্যান তেল এসেছে। আমরা এটা কিনতে শুরু করলাম। খারাপ না। কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখতাম যে এই তেলটাও বাজারে নিয়মিত পাওয়া যায় না। প্রশ্ন হলো, রাইস ব্র্যানের চাহিদা কম বলে এর উৎপাদন কম নাকি চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম? 

বলা হয় মানুষের অভ্যস্ততা খুব খারাপ জিনিস। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে যারা সয়াবিন খেয়ে অভ্যস্ত তারা রাইস ব্র্যান খেতে পারে না। এটা আমার মনে হয়নি। আমরা রাইস ব্র্যানে শুরু থেকেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, রাইস ব্র্যান তেলের প্রচারটা ঠিকমতো হয়নি। সরকারের তরফে এটা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির দরকার ছিল এবং শুরুতে দামটা সয়াবিনের কাছাকাছি রেখে স্বল্প আয়ের মানুষকে অভ্যস্ত করানো উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে সরকার রাইস ব্র্যান উৎপাদনকারীদের ভর্তুকিও দিতে পারতো। কিন্তু এসব করেনি। কারণ সয়াবিন নিয়ে এরকম সংকট হবে, তা কারও মাথায় ছিল না। 

আমাদের দেশে সয়াবিনের বিকল্প যেসব তেল, তার মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম দাম রাইস ব্র্যান তেলের। কারণ এর কাঁচামাল হচ্ছে ধানের কুঁড়া। যেহেতু বাংলাদেশে প্রচুর ধান হয়, অতএব রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদনের সম্ভাবনাও দারুণ। উপরন্তু এই তেলে ফ্যাট কম হেতু এটা স্বাস্থ্যসম্মতও। কিন্তু এটার স্বাদ ভিন্ন। এটা মানুষ কয়েকদিন খেলেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। কিন্তু মানুষকে অভ্যস্ত করানোর জন্য গণমাধ্যমে প্রচারটা হয়নি। এটা এখন শুরু করা দরকার। যেহেতু সরিষা, সূর্যমুখী, বাদাম, তিল ইত্যাদি তেলের দাম বেশি, অতএব সয়াবিনের এই সংকটকালে আমরা আমাদের বিপুল ধানের ভাণ্ডার কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদন করতে পারি এবং এর লিটার যদি ২০০ টাকার মধ্যে রাখা যায়, দেখবেন এক বছরের মধ্যে সারা দেশে অনেকগুলো রাইস ব্র্যানের কারখানা গড়ে উঠবে। তার আগে এটা নিয়ে সরকারিভাবে প্রচার করতে হবে। মানুষকে অভ্যস্ত করতে হবে। সেজন্য গণমাধ্যমকে কাজে লাগাতে হবে।  (বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যদিও তিনি এই পোস্ট দেখবেন না।) ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়