শঙ্কর মৈত্র: ব্যাংকের ব্যবসাই ব্যবসায়ীদের লোন দেওয়া। এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে তাদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়েছে। নিউ এজ পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে। বলা হয়েছে, ইসলামি ব্যাংকের রুলস অনুযায়ী তাদের লোন পাওয়ার কথা সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা। তার মানে আকাশ-পাতাল তফাতে তারা লোন নিয়েছে। এই লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টকে পত্রিকাটির সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আর্থিক খাতে এস আলম গ্রুপ নিয়ে কানাঘুষা বিগত কয়েক বছর ধরেই শুনছি। ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতের কব্জা থেকে সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দায়িত্ব দেয় এস আলম গ্রুপের হাতে। এটা শুটকির নৌকায় বিড়াল মাঝি হলো কিনা তা সময়ই বলে দেবে। এই গ্রুপের হাতে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক। একটি গ্রুপের হাতেই দেশের ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যাংক খাতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন আশঙ্কার কথা শুনেছিলাম আরও কয়েকবছর আগেই। এই আশঙ্কা এখন বাস্তবে রূপলাভ করবে কিনা সেটাই আতঙ্কের বিষয়। তবে এসব ব্যাংকের শেয়ার কিনে অনেকেই ধরা খেয়ে আছেন।
পুঁজি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এস আলম গ্রুপ তাদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে যেসব লোন নিয়েছে তার কিস্তি যদি নিয়মিত পরিশোধ করে তা হলে তো আর কথাই নেই। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক কিনা সেটা নিয়ে রিপোর্ট হওয়া দরকার। যদি খেলাপি হয় তা হলে খবর আছে দেশের ব্যাংকিং খাতের। প্রসঙ্গত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে দুটি টেলিভিশন মিডিয়াও রয়েছে। ফেসবুক থেকে