আফসান চৌধুরী: [২] আগে পরিচয় ছিলো, কিন্তু নিকটে যাই স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র প্রকল্পে এসে। প্রায় দুই বছর তর্ক-বিতর্কের পর প্রথম দুই খন্ড বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটভূমি-ড্রাফট শেষ হয়। যাই হোক কাজ শেষ। কিন্তু হাসান হাফিজুর রহমান ভাই আনিস স্যারকে বললেন, ‘তুমি একবার শেষ দেখা দেখো, প্রেসে যাবার আগে। তোমার কথাই শেষ কথা। আনিস স্যার নিলেন। দুই সপ্তাহ পর চট্টগ্রাম থেকে ফিরে কিছু সংশোধন করে ওকে করলেন। এতোটাই আস্থা ছিলো সবার উনার ওপর।
[৩] প্রকল্প শুরু হয় জিয়া আমলে, চলে এরশাদ আমলেও। সেই শেষ পর্যন্ত হুটহাট করে একদিন বন্ধ করে দেয়, দলিলের সংরক্ষণের কোনো গতি না করে। আমি ১৯৮৪ সালে ছেড়ে দিয়ে ফুলটাইম সাংবাদিক হয়ে চাই, পরে অন্য কিছু আবার। তবে আনিস স্যারের সাথে সম্পর্ক অটুট ছিলো।
[৪] কয়েক বছর আগে আমরা কয়েকজন মিয়ানমার যাই। স্যার ছিলেন সাথে। কাজের বাইরে এতো সিনিয়র একজন এমন সজ্জন, গল্পে মানুষ কম আছে। হোটেলের লবিতে বসে বা এয়ারপোর্টে লাউঞ্জে কয়েক ঘণ্টা করে আড্ডা দিয়েছি সবাই। বড় মাপের মানুষ বলেই তাকে ভাব নিতে হয়নি। ভালো থেকেন স্যার, সময় তো কাটিয়েছি সবাই এক সাথে। লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :