শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২, ০২:১৮ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২২, ১০:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রিজার্ভের সক্ষমতা মাথায় রেখে দেশীয় জায়ান্ট প্রকল্পগুলো হাতে নিতে হবে

মো. গোলাম সারোয়ার

মো. গোলাম সারোয়ার: পাকিস্তানে ডলারের রেকর্ড দরপতন হয়েছে। এক ডলার কিনতে পাকিস্তানিদের এখন ১৯৩ রুপি খরচ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে আশেপাশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় মাথায় রেখে আগে থেকে সচেতন হতে হবে। ফরেন রিজার্ভ কমে গেলেই স্থানীয় মুদ্রার উপর চাপ বাড়ে। তাই অযথা কাজে কিংবা কম প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ক্রয় করে ডলার খরচ করা যাবে না।

রপ্তানি বাড়াতে হবে, বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে হবে, যারা ফরেন কারেন্সি আয় করে দেশে পাঠাবেন। বিদেশে বাংলাদেশের যেসব মিশন কাজ করছে তাদের প্রবাসী কর্মীদের খোঁজখবর নিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ দেশে আনতে কাজ করে যেতে হবে। শুধু দেশীয় বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ঝুঁকি হলো তাতে টাকা আয় হবে, কিন্তু টাকা দিয়ে বিদেশি দায় মেটাতে পারবেন না।

ধরেন দেশের সব রাস্তাকে ষোলো লেন করা হলো, যা দরকারও বটে। এতে করে টোল বাবৎ প্রচুর টাকা ইনকামও করা যেতে পারে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব বিদেশি মালামাল, যন্ত্রপাতি ও কর্মী আনবেন তাদের পেমেন্ট করতে হবে ডলার, ইউরো, পাউন্ড কিংবা অন্য  কোনো আন্তর্জাতিক মুদ্রায়। সেটা রিজার্ভে না থাকলে বাংলা টাকা তখন কাগজে পরিণত হবে। রাস্তাঘাট অবশ্যই করতে হবে। একটি দেশ উন্নত হওয়ার মাপকাঠিই তাই। কিন্তু চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স রাখতে হবে। সক্ষমতা বিচারে ধীরে ধীরে আগাতে হবে। অনেক বেশি প্রকল্প একসাথে বাস্তবায়নের চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

মূলত ফরেন রিজার্ভের সক্ষমতা মাথায় রেখে দেশীয় জায়ান্ট প্রকল্পগুলো ধীরে ধীরে হাতে নিতে হবে। তবে যেসব প্রকল্প হাতে নিলে পণ্য ও সেবা রপ্তানি বাড়বে, ফরেন মুদ্রা আয় হবে সেগুলো বেশি বেশি বাস্তবায়ন করলে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হবে। তখন অর্থনীতি হবে টেকসই, তখনই স্বপ্ন দেখা যাবে দশ টাকায় চাল কেনার। না হলে চালের কেজি শত টাকা পার হয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়