শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২২, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’, আল জাজিরাকে অ্যামনেস্টির পুরস্কার ও কয়েকটি প্রশ্ন

আবদুল্লাহ হারুন জুয়েল

আবদুল্লাহ হারুন জুয়েল: ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ নাকি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু এটি আসলে কে বা কারা তৈরি করেছে এবং আল জাজিরার সঙ্গে এর সম্পর্ক কী তা কিন্তু পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। ফটোশপে এডিট করা কিছু ডকুমেন্ট, স্টিং অপারেশন ও সত্য-মিথ্যা মেশানো গল্পের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করে কুশীলবরা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের জন্য এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কিছু হতে পারে না। অনেক পদক্ষেপ নেওয়া যেতো কিন্তু প্রচলিত প্রতিবাদ ছাড়া কিছুই হয়নি।

পদক্ষেপ নেওয়ার মতো ক্ষেত্রগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করছি: [১] বিতর্কিত ভিডিওর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক কী তা কি কোনোভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে? (ভিডিওটি যে বানোয়াট তা তথ্য প্রমাণসহ লিখেছিলাম) [২] ভিডিও রিলিজের পর একমাত্র খালেদ মুহিউদ্দীন কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। তখন তাসনিম খলিলের ভাষ্য ছিলো, সে এ বিষয়ে তেমন কিছু জানে না। নেত্র নিউজের কিছু ফুটেজ তারা ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রোডাকশন টিমের অন্যতম একজন ছিলো সে। এছাড়া শহীদ খানের কথোপকথন বিক্রি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

[৩] সামিকে উপস্থাপন করা হয়েছে একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে। সেই সামি অ্যামনেস্টি থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে কীভাবে? আল জাজিরা কি শুধু ডিস্ট্রিবিউটর ছিল? তাদের তদন্ত কি থার্ড পার্টি করে? সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামির বিরুদ্ধে কিশোর বয়স থেকে নানা ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সেনাবাহিনীতে ভর্তি কারণে তাকে বিএমএ থেকে বের করে দেওয়া হয়। কয়েকবার গ্রেফতার হওয়ার কারণে নাম পরিবর্তন করে জুলকারনাইন সায়ের হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। নতুন নাম ও পিতার নাম আংশিক পরিবর্তন করে শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে হাঙ্গেরি পাড়ি দেন। আল জাজিরার ফিল্মে সামির ভূমিকা ছিল একজন সোর্সের। এখন কোন যোগ্যতা বলে সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করছে? যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কার্টেসি জানে না, যাকে তাকে ট্যাগ দেয়, অসভ্যের মতো কে, কবে, কী পোস্ট দিলো- সেদিকে ওঁৎ পেতে থাকে এবং অবিরাম প্রাইভেসি ভঙ্গ করছে- এমন একজন অর্ধশিক্ষিত ‘ফর্মা’ কীভাবে আল জাজিরার আই ইউনিটের সদস্য পরিচয় দেয়- এই প্রশ্ন কি আল জাজিরাকে করা হয়েছে?

[৪] সরকারি কর্মকর্তাদের বায়োডাটা বা সরকারি কিছু নথি জোগাড় করা কঠিন কোনো কাজ নয়। অনলাইনেই সরকারি কর্মকর্তাদের পাসপোর্টসহ অনেক তথ্য পাওয়া যায়। সামির সরবরাহ করা নথিগুলো যে টেম্পারিং করা ছিলো তা যাচাই করার মতো মেধাবী সাংবাদিক/গবেষক আল জাজিরা বা অ্যামনেস্টিতে নাও থাকতে পারে। কিন্তু সরকার তো এগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপন করে জবাব চাইতে পারতো। [৫] নেত্রীর এওয়ার্ড নিয়ে সামি যে মিথ্যাচার করেছে শুধু সেই ইস্যুতেই সামিকে হাঙ্গেরির আদালতে তোলা যায়। সামি বিশিষ্টজনদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে, টাকার মুখ দেখেছে হারিছকে পার্টনার বানিয়ে এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে তার অর্থ আত্মসাৎ করে। হারিছের সূত্রে উপস্থাপন করা অনেক ডকুমেন্টই টুইস্টেড ছিল। এমনকি টুজি মোবাইল যুগের ডিভাইসকে ২০১৮/১৯ সালের বলে দেখানো হয়েছে। [৬] হারিছকে বড় ব্যবসার লোভ দেখিয়ে আল জাজিরার ফিল্মে যা দেখানো হয়েছে সেটা ছিল একটি স্টিং অপারেশন। স্টিং অপারেশনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিই কোনো আদালতে দণ্ড পায় না। সুইডেনসহ অনেক দেশে স্টিং অপারেশন কেন্দ্রিক সাংবাদিকতা নিষিদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের টাইমসসহ বড় বড় সংবাদমাধ্যমের নীতি হচ্ছে- পরিচয় না জানিয়ে বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি না নিয়ে অডিও/ভিডিও ধারণ করা যাবে না। সরকার চাইলেই এ ভিডিও নিয়ে, এমনকি এ পুরস্কার নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে। [৭] আল জাজিরার পুরস্কার গ্রহণ করতে পারে এজেআই ইউনিটের ফিল রীস বা তাদের প্রতিষ্ঠানের কেউ। আই ইউনিটের একজন ‘ফর্মা’ ও বিতর্কিত ব্যক্তি কীভাবে পুরস্কার গ্রহণ করে? এছাড়া একজন আন্ডারকভার রিপোর্টার যদি নিজের পরিচয় দিয়ে বেড়ায় তাহলে অনুসন্ধান হয় কীভাবে? মাত্র কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করলাম এ কারণে যে, সরকার চাইলেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারতো/পারে। এরা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় ফেসবুকে পোস্ট করে এবং দেশের স্পর্শকাতর বিষয়কে টুইস্ট করে উপস্থাপন করে যেভাবে নোংরামি করে তাতে চুপ করে থাকা কঠিন। চাইলে আমরাও কার বউ, বোন, ভাই কবে কার সঙ্গে কি করেছে তার তথ্য প্রমাণ প্রকাশ করতে পারি। রুচির প্রশ্ন। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়