এ বি এম কামরুল হাসান: ভারত বিশ্ববাজারে গম রপ্তানি বন্ধ করেছে । ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। আগেই পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে । অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যশস্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঠিক রাখতে দেশগুলো কিছু পণ্যের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে । ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘তার দেশে শুরু হওয়া যুদ্ধ কত সময় স্থায়ী হবে তা কেউ জানেন না।‘ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান এভ্রিল হাইনেস। এমতাবস্থায় আমদানি রপ্তানি বিষয়ে বাংলাদেশেরও কিছু একটা ভাবার সময় এসেছে। কিন্তু আমরা কোন পণ্য রপ্তানি বন্ধ করতে পারি ? তেমন কোন খাদ্য বা নিত্য প্রয়োজণীয় দ্রব্য আমরা রপ্তানি করি না। দেশের শীর্ষ দশ রপ্তানি পণ্য হল বিভিন্ন ধরণের গার্মেন্টস সামগ্রী, চামড়াজাত দ্রব্য, কৃত্তিম ফুল, হেড গিয়ার ইত্যাদি। কোনটি নিত্য প্রয়োজনীয় নয় । খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে একমাত্র মাছ রয়েছে শীর্ষ দশে । প্রতিবছর আমরা ৬০ মিলিয়ন ডলারের মাছ রপ্তানি করি, যা মোট রপ্তানির এক দশমিক এক ভাগ । দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটানো সহ মাছের বাজার মূল্য ঠিক রাখতে আমরা যুদ্ধের সময়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ করতে পারি । মাছে ভাতে বাঙালি । দেশে প্রতি বছর গড়পড়তা ৫৫ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হয় । বছরে খুব সামান্যই চাল আমদানি করার প্রয়োজন হয় । ২০২০ সালে এক দশমিক তিন মিলিয়ন টন চাল আমদানি করা হয়েছিলো । তার মানে চালে আমরা মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ । সাথে একটু মাছ হলে মাছে ভাতের বাঙালিকে আর ঠেকায় কে ? লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :