আশরাফুল আলম খোকন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে অনেকেই দেখছি তৃপ্তির ঢেকুর দিচ্ছেন। অবাক করা এক জাতি আমরা। যারা নিজের দেশের দুর্ভাগ্য কামনা করি। এর মধ্যে সরকারবিরোধী রাজনীতিবিদ যেমন আছেন, তেমনি সুশীল সমাজও আছেন। বিদেশি সুশীলদের সাথে আমাদের দেশীয় সুশীলদের পার্থক্য অনেক। দেশীয় অধিকাংশ সুশীল স্বপ্নে নিজেকে ক্ষমতার চেয়ারে দেখেন। অধিকাংশ এনজিও দাতাগোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত হয়, দেশের স্বার্থ তাদের কাছে গৌণ।

এই তুলনাকারীদের মধ্যে তিনটা শ্রেণী আছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ- যারা দেশকে এখনই শ্রীলঙ্কা বানিয়ে দিচ্ছেন। সরকারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আরেকপক্ষ এমন সুক্ষভাবে ইঙ্গিত দিয়ে লেখা বা আলোচনা করেন যা দেখে মনে হবে যে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এমপিদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতোই হবে। এটা একটা মনস্তাত্তিক গেম। মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। ভয় পেলেন তো হেরে গেলেন। 

আরেকপক্ষ আরও সুক্ষ্মভাবে ভয় দেখায়। তারা আপনাকে উপদেশের আদলে মনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিবে। এটাও একটা মনস্তাত্তিক গেম। ওরা বলবে, বাংলাদেশ যাতে শ্রীলঙ্কা না হয় সেজন্য সরকারকে কী কী করতে হবে। এসব উপদেশের মধ্যেই ইঙ্গিতে বলে দিবে সরকার আসলে সেই ভুলটিই করছেন। সম্মুখ যুদ্ধ সবাই দেখে। যাদের শক্তি বেশি তারা টিকে থাকেন। বিএনপি-জামায়াত সেই যুদ্ধে হেরে গেছে। বেশ কিছুদিন তারা ও তাদের বুদ্ধিজীবিরা মনস্তাত্তিক যুদ্ধটা করছেন, যেটা ভয়ংকর যুদ্ধ। মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া, নৈতিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া। এই যুদ্ধে তারা খানিকটা সফল। সত্যি বলতে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নৈতিকভাবে এখন অনেকটাই দুর্বল, যেটা ২০১৩ সালে হয়েছিল। সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি এই ভিত্তিহীন ভয় দূর করাটা জরুরি। ফেসবুক থেকে