শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২২, ০৪:০০ সকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০২২, ১০:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মনজুরুল হক: আলজাজিরা সাংবাদিকের মৃত্যু ও গণমাধ্যমের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

মনজুরুল হক: আলজাজিরা সাংবাদিক শিরিন আবু আকলে ইজরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনাদের যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করছিলেন শিরিন। সন্দেহ নেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। ৫১ বছর বয়সী শিরিন একজন প্যালেস্টাইনী। ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছেন। জীবন সংগ্রামে তাকে একাই লড়তে হয়েছে। প্রায় ২৭ বছর ধরে কাজ করছেন আল-জাজিরায়। শিরিনের মৃত্যুর পর কাতার এবং আল-জাজিরা কর্তৃপক্ষ ‘রুটিন ওয়ার্ক’ সেরেছে। তারা বলছে,‘শিরিনের গায়ে বুলেটপ্রুফ ভেস্টা ছিলো। মাথায় ছিল হেলমেট। তার পরও কীভাবে মাথায় গুলি লাগে? কারণ তাকে ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মুখে গুলি করা হয়েছে। মুখে তো আর ভেস্ট থাকে না। যথারীতি ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের এলিট বাহিনীর মতো গল্প সাজিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ইজরায়েলি সৈন্যদের গোলাগুলির মধ্যে শিরিনের গায়ে গুলি লাগলে তিনি আহত হন, পরে মারা যান। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হচ্ছে’।

সারাদিনই আল-জাজিরা শিরিনকে নিয়ে রিপোর্ট করেছে। স্বাভাবিক। কিন্তু বিস্ময়কর হচ্ছে সিএনএন ছাড়া অন্য বড় কোনো মিডিয়া এটা নিয়ে হাইপ তোলেনি। এমনকি বিবিসিও না। এই করুণ মৃত্যুর পরও তার প্রতিষ্ঠান আল-জাজিরার তেমন কোনো প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেই। যদিও তারা ‘All the Prime MinisterÕs Men’ তথ্যচিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়েছে, তার পরও তারা Conversational journalism-এর কারণে তারা সর্বমহলে নন্দিত নয়। বর্তমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও তারা পশ্চিমা তল্পিবাহী খবর প্রচার করে আসছে নিয়মিত। শুধু শিরিন নয়, এর আগেও আল-জাজিরার ডজনস জার্নালিস্ট নিহত হয়েছেন। ‘ফ্রিডম অব প্রেস’ কথাটা যেন ক্ষমতাবানদের চিপস প্যাকেটের এক্সপায়ারি ডেট।  লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়