শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২২, ০১:৩৫ রাত
আপডেট : ১৩ মে, ২০২২, ০১:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শোয়েব সর্বনাম: লোন নেওয়া কোনো দুর্বলতা নয়, সক্ষমতা

শোয়েব সর্বনাম: সবাই সবাইরে লোন দিবে না। শ্রীলঙ্কারে এখন কেউ লোন দিচ্ছে না। তাদের জিডিপির হানড্রেড পারসেন্ট লোন নেওয়া আছে। অন্যদিকে জাপানকে সকলে লোন দিতে রাজি আছে। জাপানের লোন তাদের জিডিপির দুইশ পার্সেন্ট। তাতে জাপানের সমস্যা হচ্ছে না। তারা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ অবস্থায় আছে। আমাদের দেশে লোন আছে জিডিপির থার্টি পার্সেন্ট। উন্নয়নশীলমার্কা দেশগুলার ক্ষেত্রে জিডিপির সেভেন্টি পার্সেন্ট পর্যন্ত লোন নেওয়া নিরাপদ। 

লোন একটা লাভজনক জিনিস। অর্থনীতি ভালো বোঝেন এমন লোকেরা পকেটে এক কোটি টাকা থাকলেই সেইটা খরচ ফ্ল্যাট কিনবেন না। টাকা তিনি ইনভেস্ট করবেন। ওই ফ্ল্যাট কিনবেন তিনি লোন নিয়ে। ব্যবসায়ীর পকেটে হাজার কোটি টাকা থাকলেও নতুন ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইনভেস্ট করতে তিনি ব্যাঙ্ক লোন করবেন। দেশের শীর্ষ বড়লোক সালমান এফ রহমান দেশের শীর্ষ ঋণগ্রস্ত লোক। তাতে তার বড়লোকি কমে নাই। বাংলাদেশ লোন নিয়ে যেসকল মেগা প্রজেক্টে ইনভেস্ট করতেছে, সেগুলা চালু করার সাথে সাথে উপার্জন শুরু করবে। পদ্মাসেতু মেট্রোরেল কিংবা কর্নফুলি টানেলে সেই হিসাব করেই রেভিনিউ আদায় করা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। অর্থাৎ, আমাদের ইনভেস্টমেন্টগুলা চাহিদার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গভর্মেন্টের এমন কোনো প্রজেক্ট নাই যা লাভজননক করে তোলা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। 

ফলে, লোনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্কটে পরার কোনো বাস্তব ভিত্তি নাই। এই উটকো কোভিড সিচুয়েশন এসে পর্যটন শিল্পের গোয়া মেরে না দিলে শ্রীলঙ্কাও কোনোমতে টিকে যেতো। পর্যটন যেহেতু শ্রীলঙ্কার একমাত্র রিজার্ভ প্রোভাইডার, ফলে তারা এই পরিস্থিতিতে ধরা খেয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা এখন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে সালমান রহমানকে ভাড়া করে নিয়ে যেতে পারে। দেখা যাবে এই লোক জিডিপির টু হান্ড্রেড পার্সেন্ট লোন নিয়ে দেশটার অর্থনীতি আবার গুছায়ে দিতে পারে। এছাড়া তো আর কোনো কায়দা দেখি না! লেখক: কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়